প্লাস্টিক ডিমের ‘ভূত’ তাড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াই ছিল— গ্রামীণ মানুষজনের মধ্যে হাঁস-মুরগি প্রতিপালনের প্রসার ঘটাতে হবে।
জেলায় জেলায়, অভাবী মানুষ জনকে বিনামূল্যে দশটি করে হাঁস-মরগির ছানা বিতরণের নির্দেশও উড়ে গিয়েছিল নবান্ন থেকে। সঙ্গে ছিল, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এ কাজে জড়িয়ে নিতে একশোটি করে মুরগি ছানা দেওয়ার উপরি নির্দেশ।
অন্ধ্রপ্রদেশ বা তামিলনাড়ুর মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে ‘আমাদের গ্রামে-গঞ্জেই’ ডিম ফোটার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
সে নির্দেশ মেনে, ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর তাই আগামী সপ্তাহ থেকেই হাঁস-মুরগির ছানা বিলি শুরু করতে চলেছে।
প্রাণীসম্পদ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি উদ্যোগপতি কিংবা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে হাঁস-মুরগীর খামার তৈরিতেও
সাহায্য করবে তারা। ওই দফতরের প্রধান সচিব বিপি গোপালিকা
দিন কয়েক আগে, নদিয়ায় এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। তা ছাড়া, শুক্রবার তিনি নবান্ন থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরের জেলা আধিকারিক এবং জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে ভিডিও কনফরেন্স করেছেন। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে— ‘রাজ্যে প্রতি দিন গড়ে ২কোটি ৫০লক্ষ ডিমের প্রয়োজন। সেখানে গড়ে ডিমের জোগান ৬৫ লক্ষ থেকে ১কোটি।’ ডিমের এই ঘাটতি মেটাতে এ বার রাজ্যের আনাচ কানাচে শুরু হচ্ছে নব্য-হ্যাচারি।
প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের নদিয়া জেলার উপ-অধিকর্তা মৃণালকান্তি সমাদ্দার বলেন, “ডিমের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নির্দেশিকা এসেছে। আমরা সেই নির্দেশিকা মেনে কাজ শুরু করে দিয়েছি।’’ সম্ভবত, সামনের সপ্তাহ থেকেই বিলি-বণ্টন শুরু হবে।
পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, কল্যাণী এবং গোবরডাঙায় হাঁসের খামারের পরিকাঠামো তাই ঢেলে সাদা হচ্ছে। থাকবে, পাঁচ হাজার হাঁস। রাজ্যে ২৭টি মুরগি খামারের ক্ষমতাও বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে।