প্রতীকী ছবি।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। ফলে অনুষ্ঠান লেগেই রয়েছে। আর তার সৌজন্যে সারা বছরই সহ্য করতে হয় শব্দদানবের তাণ্ডব। এর উপর গোদের উপর বিষ ফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন।
রাস্তার দুপাশ দখল করেছে রাজনৈতিক দলের মাইক। চলছে অবিরাম প্রচার। মাইক দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ। এই পরিস্থিতিতে ছোটদের সামনে এনে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগী হল চাকদহের বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা। প্রযুক্তিকেই হাতিয়ার করে যাতে শব্দ দানবের মোকাবিলা করা যায়, সেটাই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের শেখাচ্ছে তারা। তাদের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের সাউন্ড লিমিট অ্যাপ ডাউনলোড করে দেওয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে শব্দের মাত্রা মাপা যায়। শব্দ বেশি হলে তা কমানোর অনুরোধ করতে শেখানো হচ্ছে তাদের। ভুল চোখে আঙুল দিয়ে ছোটরা দেখিয়ে দিলে বড়রা তা শুধরে নিতে পারে বলেই আশা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার।
গত এক সপ্তাহ ধরে চাকদহ রামলাল অ্যাকাডেমিতে চলছে জাতীয় সেবা প্রকল্পের বিভিন্ন অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে শব্দ দূষণ সংক্রান্ত এক আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তৃতা করেন বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সভাপতি বিবর্তন ভট্টাচার্য।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তিনি বলেন, “স্কুল পড়ুয়াদের কথা শোনা না হলে তারা সেটা আমাদের জানাবে। তখন আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব। আমরা চাই, শব্দ দানবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ হোক।’’ শব্দ দূষণ নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদ। পরিষদের সভাপতি কল্যাণ রুদ্র বলেন, “এ ব্যাপারে নিয়ম ভাঙলে জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”