বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোট ঘোষণার পরে কোনও জনপ্রতিনিধির ছবি ফ্লেক্স, পোস্টার বা দেওয়াল জোড়া বিজ্ঞাপনে রাখা যাবে না। সমস্ত সরকারি দেওয়াল, ওয়েবসাইট, ইলেক্ট্রনিক বিল বোর্ড বা ডিসপ্লে বোর্ড থেকে নেতা মন্ত্রীদের নাম ছবি সরিয়ে নিতে হবে। সরকারি সম্পত্তি থেকে রাজনৈতিক দলের ব্যানার হোর্ডিংও সরিয়ে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা। কিন্তু এখনও জেলা জুড়ে নেতা মন্ত্রীদের ছবি দেওয়া ব্যানার পোস্টার দিব্যি ঝুলছে, তেমনি সরকারি সম্পত্তিতেও রাজনৈতিক দলের ব্যানার
পোস্টারে ছয়লাপ। কমিশনের নির্দেশ মেনে অবশ্য সোমবার থেকেই সরকারি সম্পতি থেকে সেই ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলাশাসক পি উলাগানাথনের দাবি, ‘‘আমরা আগে থেকে সরকারি ভবন, সম্পতি চিহ্নিত করে রেখেছিলাম। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যানার হোর্ডিং সরিয়ে দেওয়া হবে।’’
বহরমপুরে জেলাশাসকের অফিস চত্বরে মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্য মন্ত্রীদের নাম ও ছবি দেওয়া অধিকাংশ বিজ্ঞাপন ইতিমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার বিকালেও দেখা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারের দিকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া সামাজিক সুরক্ষা যোজনার বিজ্ঞাপনের একটি হোর্ডিং রয়েছে। বহরমপুরে টেক্সটাইল কলেজের দেওয়ালে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া সামাজিক সুরক্ষা যোজনার হোর্ডিং। আবার বহরমপুরে কান্দি বাসস্ট্যান্ডে পুরসভার বাতিস্তম্ভে পুরসভার পক্ষ থেকে লাগানো রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি, নতুন বাজারে বাতিস্তম্ভে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর ছবি দিয়ে দীপাবলি ও ছটপুজোর শুভেচ্ছা দেওয়া হোর্ডিং এখনও রয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পেয়ে জেলা জুড়ে সরকারি দেওয়াল থেকে ব্যানার হোর্ডিং পোস্টার সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন সরকারি কর্মিরা। সোমবার জেলাজুড়ে প্রায় ৭০০টি জায়গা থেকে সরকারি বিজ্ঞাপনে থাকা নেতা মন্ত্রীদের নাম-ছবি থাকা ব্যানার হোর্ডিং সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও বা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞাপনে নেতামন্ত্রীদের নাম ছবি ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবারও জেলাজুড়ে সরকারি কর্মীরা অভিযান চালিয়েছে। তবে এ দিন কি পরিমাণ হোর্ডিং ব্যানার সরানো হয়েছে তার হিসেব দিতে পারেননি প্রশাসন। নির্বাচনী নজরদারির বিভিন্ন কাজে ২৯টি মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট টি তাদের ৭২টি জংলা রঙের ফ্লাইং স্কোয়াডের গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর জন্য গড়া হয়েছে ৬৬টি স্ট্যাটিক সার্ভিলেন্স টিম, ৬৬টি ভিডিয়ো সার্ভিলেন্স টিম। এ দিন জেলার ২২টি বিধানসভা এলাকায় নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত এই নজরদারি চলবে বলে জানা গিয়েছে।