হারানো বালক গেল সরকারি হোমে

বোঝে বাংলা না বলতে পারে শুদ্ধ হিন্দি। অনর্গল বলে চলে আদিবাসী ভাষা, যা বোধগম্য হচ্ছে না সরকারি কর্তাদের।চাইল্ড লাইন সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল রাত্রে বহরমপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি চলন্ত লরি থেকে কোনও ভাবে পড়ে যায় বছর সাতেকের ছেলেটি।।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ০২:১৪
Share:

হোমে: উদ্ধার হওয়া শিশুটি।

চলন্ত লরি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছিল ছেলেটি। মাসখানেক বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে তার বাড়ি কিংবা পরিবারের খোঁজ না পাওয়ায় বহরমপুর চাইল্ড লাইনের তত্ত্বাবধানে বছর সাতেকের ওই বালককে নিয়ে যাওয়া হল বহরমপুরের একটি সরকারি হোমে। উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরটি না

Advertisement

বোঝে বাংলা না বলতে পারে শুদ্ধ হিন্দি। অনর্গল বলে চলে আদিবাসী ভাষা, যা বোধগম্য হচ্ছে না সরকারি কর্তাদের।

চাইল্ড লাইন সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল রাত্রে বহরমপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি চলন্ত লরি থেকে কোনও ভাবে পড়ে যায় বছর সাতেকের ছেলেটি।। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাস্তার সিভিক কর্মীরা উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। কয়েক দিনের মধ্যে সে সুস্থ হয়ে উঠলেও তার বাড়ির লোকজন আর আসেনি। প্রায় এক মাস অপেক্ষায় থাকার পর হাসপাতালের পক্ষ থেকে তা জানানো হয় বহরমপুর চাইল্ড লাইন সংগঠনের কর্মীদের।

Advertisement

চাইল্ড লাইনের পক্ষে তাপস সরকার বলেন, ‘‘ছেলেটির সঙ্গে দু’দিন ধরে নানা ভাবে কথা বলে জানার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তার ভাষা বুজছে না কেউ।’’ তবে, তাদের অনুমান ছেলেটি ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকার বাসিন্দা হলেও হতে পারে।

মুর্শিদাবাদ জেলার শিশু সুরক্ষা আধিকারিক অর্জুন দত্ত জানান, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শিশু সুরক্ষা কমিটির নির্দেশে ওই কিশোরকে গত সপ্তাহে বহরমপুরের একটি সরকারি হোমে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “পাকুড়ের আশপাশের বাসিন্দা বলে তার কথা শুনে ধারনা করা হচ্ছে। প্রশাসনিক পর্যায়ে তার পরিচয় খুঁজে পেতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন