ইয়াদুল শেখ। —নিজস্ব চিত্র
সাতসকালে থানায় হন্তদন্ত হয়ে ঢুকল যুবক। জনে জনে ডেকে ওসি কোথায় জানতে চায়। শেষে বড়বাবুকে পেয়ে বলে, ‘‘স্ত্রীকে খুন করেছি। আমায় গ্রেফতার করুন।’’
সোমবার বড়ঞার বেলগ্রামের ঘটনা। অভিযুক্ত ইয়াদুল শেখ জানায়, মহিনুর প্রতিবেশি এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এই সন্দেহে গলায় গামছা জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যা করে। আর তারপর পাঁচ কিলোমিটার উজিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে আসে। প্রথমে হকিচকিয়ে গেলেও সম্বিত ফিরতে বেলগ্রামে গিয়ে মহিনুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মহিনুরের মা জরিনা বিবি ইয়াদুল শেখ-সহ পাঁচ জনের নামে খুনের মামলা রুজু করেছেন। তবে বাকিরা পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনমজুরের কাজে মুম্বই যায়। গত রবিবার বাড়ি ফেরে। ওই দিন তার উপস্থিতিতেই মহিনুরকে এক যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে শোনে ইয়াদুল। তখন কিছু না হলেও ভোরে স্বামী-স্ত্রীর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পাঁচ বছরের মেয়ে তনুজার সামনে মহিনুরের গলায় গামছা জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে ইয়াদুল। পুলিশ সুপার সি সুধাকর জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।