সভাপতিদের অনুপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ মহুয়া

দলীয় সাংসদের ডাক উপেক্ষা করে কর্মীসভায় অনুপস্থিত রইলেন জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের বেশ কিছু বুথ সভাপতি।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৩৯
Share:

মহুয়া মৈত্র। ফাইল চিত্র

দলীয় সাংসদের ডাক উপেক্ষা করে কর্মীসভায় অনুপস্থিত রইলেন জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের বেশ কিছু বুথ সভাপতি। এতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ নেত্রী অঞ্চল সভাপতিদের নির্দেশ দেন, দু’টির বেশি সভায় যে সব বুথ সভাপতিরা অনুপস্থিত থাকবেন তাঁদের যেন শো কজ করা হয়। শুধু তাই নয়, শক্ত হাতে দলকে বেঁধে রাখার নির্দেশ দিলেন দলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেল সভাপতি তথা কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

Advertisement

লোকসভা ভোটের পর সাংগঠিক জেলা সভপতি হয়ে রবিবারই প্রথম কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ স্তরের কর্মী সভা করেন মহুয়া। সেখানে প্রথমে তিনি এই বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। সভায় নেত্রী নিজেই গুনে দেখেন যে, অনেক বুথ সভাপতি অনুপস্থিত। বিশেষ করে কৃষ্ণনগর শহর-ঘেঁষা দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের একটা বড় অংশের বুথ সভাপতিরা উপস্থিত হননি। নেত্রী প্রকাশ্যেই এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে এ দিন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতাকর্মীর দাবি। তাঁদের কথায়, ক্ষুব্ধ সাংসদ তখনই অঞ্চল সভাপতিদের নির্দেশ দেন, যে সব সভাপতি দু’টির বেশি সভায় উপস্থিত হবে না তাঁদেরকে শো-কজ করতে হবে। তাঁদের দাবি, এ দিন মহুয়া নির্দেশ দিয়েছেন, যে ‘লবিবাজি’ করার করুক। বিজেপি করার হোক করুক। কিন্তু দলকে শক্তহাতে বেঁধে রাখতে হবে। লোকসভা ভোটের পর যাঁরা বিজেপির দিকে ঝুঁকেছিলেন তাঁদেরকে গুরুত্ব না-দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

কিন্তু কেন এলেন না ওই বুথ সভাপতিরা? দোগাছি এলাকা থেকে অনুপস্থিত থাকা এক বুথ সভাপতির কথায়, “লোকসভা ভোটের পর আমাদের কর্মীরা বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। ঘর ছাড়া হয়ে থেকেছেন। কাউকে সে দিন পাশে পাইনি। পাশে পাইনি সাংসদকে। এখন কেন যাব? ” আর এক অনুপুস্থিত বুথ সভাপতির কথায়, “বিপদের সময় কাউকে পাশে পাইনি। কৃষ্ণনগর শহরের কোনও নেতা সে দিন পাশে দাঁড়াননি। এখন তো ভোট পুরসভার। ওঁদের সঙ্গে সভা করুন মহুয়া। আমাদের দরকার কেন?” বৈঠকের দ্বিতীয় পর্বে কৃষ্ণনগর পুরসভার বুথ স্তরের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় দলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে আসে বলে দলীয় সূত্রের খবর। বিশেষ করে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থাকলে মহুয়া মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বলে কর্মীদের একটা অংশের দাবি। তিনি কার্যত ধমক দিয়ে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন বলে খবর। কর্মীদের দাবি, বৈঠকে মহুয়াদেবী নিজেই প্রশ্ন তোলেন, কেন কাউন্সিলরেরা নিজেরা ভোটে জিতলেও বিধায়াক ও সাংসদদের জেতাতে পারেন না? মহুয়া নির্দেশ দেন, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৬টা পর্যন্ত জেলা কার্যালয় খোলা রাখতে হবে। আরও জানান, জানুয়ারি মাসের মধ্যে শহরের ১৪৬টি বুথেই কমিটি গঠন করে দেবেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন