জ্বরে পুড়ছে কান্দি, ভিড় হাসপাতালে

জ্বরের নির্দিষ্ট কারণ অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয় চিকিৎসকদের কাছে। তাই চেনা লব্জ পিরছে, ‘অজানা জ্বর’। তবে, রোদ-বৃষ্টির খামখেয়ালিপনায় সর্দি-গর্মি থেকেই জ্বরের প্রকোপ বলে চিকিৎসকদের একাংশের মত। তাঁদেরই এক জন বলছেন, ‘‘বলতে পারেন বাইরাল ফিভার। তিন থেকে সাত দিন জ্বর থাকছে। তবে এক বার জ্বর হলে বড্ড কাবু করে দিচ্ছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৮ ০২:৩৫
Share:

ভিড়-চেম্বারে: কান্দিতে। নিজস্ব চিত্র

বর্ষায় জ্বরে কাবু কান্দি।

Advertisement

কান্দি মহকুমা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ব্লক হাসপাতালে সকাল থেকেই লম্বা লাইন, রোগীদের সিংহভাগের গা পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে। ছবিটা একইরকম মহকুমা হাসপাতালেও। গত তিন দিনে কান্দি হাসপাতালে শুধু জ্বর নিয়েই মহিলা ও পুরুষ বিভাগে ভর্তি হয়েছেন, ৬৫ জন। শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছে অন্তত ৭০ জন। হাসপাতালের সুপার মহেন্দ্রনাথ মাণ্ডি বলছেন, ‘‘অনেকেই সরাসরি মহকুমা হাসপাতালে ভিড় করছেন, কেউ আসছেন ব্লক থেকে রেফারড হয়ে, তবে সকলেরই এক কথা ‘গা পুড়ে যাচ্ছে।’’

জ্বরের নির্দিষ্ট কারণ অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয় চিকিৎসকদের কাছে। তাই চেনা লব্জ পিরছে, ‘অজানা জ্বর’। তবে, রোদ-বৃষ্টির খামখেয়ালিপনায় সর্দি-গর্মি থেকেই জ্বরের প্রকোপ বলে চিকিৎসকদের একাংশের মত। তাঁদেরই এক জন বলছেন, ‘‘বলতে পারেন বাইরাল ফিভার। তিন থেকে সাত দিন জ্বর থাকছে। তবে এক বার জ্বর হলে বড্ড কাবু করে দিচ্ছে।’’

Advertisement

তবে জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে কারও রক্তে ডেঙ্গির জীবানু পাওয়া য়ায়নি বলে দাবি করেছে হাসপাতাল। যদিও এক জনের রক্ত পরীক্ষায় ম্যালেরিয়ার ছায়া মিলেছে।

কান্দি মহকুমা হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতি দিন রোগীর সংখ্য়া বাড়ছে। হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলছেন, ‘‘আউটডোরে প্রতি দিন গড়ে ১২০০ থেকে ১৫০০ রোগী আসছেন। আশি শতাংশেরই জ্বর। যার সিংহভাগই শিশু। তবে হাসপাতালের সুপার মহেন্দ্রবাবু বলছেন, ‘‘এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নয়। এই সময়ে এমন ভাইরাল ফিভার খুবই সাধারন ঘটনা। আমরা বিভিন্ন এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানোর কথাও ভাবছি।’’

কান্দি মহকুমা হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অভীক দাস বলছেন, “ঋতু বদলের এই সময়ে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। এই জ্বরে শিশুরাই বেশি কাহিল হয়ে পড়ে। গায়ে ব্যথা, মাথা ধরা, সর্দি— সব উপস;গই থাকে। মনে রাখতে হবে, ডাক্তার না দেখিয়েই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া চলবে না। প্যারাসিটামল ট্যাবলেটই এক মাত্র ভরসা। আর হ্যাঁ, রোগীকে বেশি করে জল খেতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement