বহরমপুর স্টেডিয়ামে আটক পুলকার। নিজস্ব চিত্র
পুলকার নিয়ে অবশেষে গা ঝাড়া দিল প্রশাসন। পঞ্চাননতলার কাছে ছয়টি স্কুল গাড়িকে সোমবার আটক করে পুলিশ। ওই গাড়িগুলি পঞ্চাননতলার কাছেই একটি বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের স্কুলে ভাড়া খাটে। আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িগুলির মালিক একজন হলেও খাতায় কলমে বিভিন্ন নামে তাদের মালিকানা রয়েছে। গাড়িগুলির কোনটিই ব্যবসায়িক গাড়ি নয়। মুর্শিদাবাদ আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সিদ্ধার্থ রায় বলেন, “আটক গাড়িগুলির মধে চারটি গাড়ির প্রয়োজনীয় নথি ছিল না। তাদের উপযুক্ত নথি জমা দিতে বলা হয়েছে।’’ ধরা পড়া গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকায় উপযুক্ত জরিমানা দিয়ে গাড়ি ছাড়াতে হবে বলেও জানিয়েছে পরিবহণ দফতর।
এ দিন, বহরমপুরের র্গির্জার মোড়ে বহরমপুর সদর ট্রাফিক অফিসে পুলকার চালকদের সঙ্গে বৈঠক হয় জেলা ট্রাফিক পুলিশ কর্তাদের। সেখানে পুলকার চালকদের সতর্কতার পাশাপাশি একগুচ্ছ বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, পুলকারের ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলে ও টায়ারের অবস্থা ভাল না হলে স্কুল পড়ুয়াদের নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলকারদের চালকদের স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বৈধ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। পুলকার চালক ছাড়াও এ দিন স্কুল বাস চালকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকেরা। কোনও পরিস্থিতিতেই ওভারটেক করা যাবে না বলে তাঁদের স্পষ্টত জানিয়ে দেওয়া হয়।
প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই বৈঠকে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুলকার নিয়ন্ত্রণে এই ধরনের বৈঠক লাগাতার চলতে থাকবে।’’ পুলকার চালক সামসুল শেখ বলেন, ‘‘এই বৈঠকে পুলিশ তাঁদের নানা নিয়ম সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে।এতে দুর্ঘটনা অনেকটা কমবে বলে আশা করা যায়।’’ পুলিশ সুপার অজিত সিংহ যাদব বলেন, ‘‘পুলকার চালকদের ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হয়েছে। তাদের স্পষ্ট জানানো হয়েছে পুলকার চালানোর সময় এতটুকু বেনিয়ম ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’