প্রতীকী ছবি।
কিশোরীকে টানা তিন বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মামার বিরুদ্ধে। যুবকটিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যদিও মেয়েটির মা নিজেই অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। ছোটবেলায় বাবা মারা যান মেয়েটির। এর পরে হাঁসখালির গয়েশ এলাকায় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে মুড়াগাছায় বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলেন মা। দুই নাবালক ছেলেমেয়েকে দিদিমা আর মামার জিম্মায় রেখে কলকাতায় আয়ার কাজ করতেন তিনি।
মেয়েটি এখন নবম শ্রেণির ছাত্রী। ভাই তার চেয়ে বছর দু’য়েকের ছোট। মঙ্গলবার বিকেলে মেয়েটি হাঁসখালি থানায় এসে ডিউটি অফিসারকে বলে, গত তিন বছর ধরে মামা তাকে ধর্ষণ করে আসছে। মামার বয়স তিরিশ ছুঁইছুঁই, এখনও বিয়ে হয়নি। ডিউটি অফিসার তাকে লিখিত ভাবে সব জানাতে বলেন। মেয়েটি অভিযোগ লিখে দেয়। পুলিশ মামাকে গ্রেফতার করে। ওই রাতেই বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয় তাঁর। বুধবার রানাঘাট আদালতে বিচারক তার গোপন জবানবন্দি নেন। মামাকে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিশোরীর অভিযোগ, বাড়ি থেকে বের দেওয়া আর খুনের হুমকি দিয়ে গত তিন বছর ধরে মামা তাকে ধর্ষণ করে। বাড়ির লোকেদের বলে কাজ না হওয়ার শেষ পর্যন্ত সে পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে। খবর পেয়ে তার মা তড়িঘড়ি মুড়াগাছায় ফেরেন। তাঁর দাবি, “শাসন করার লোকের অভাবে মেয়ে অন্য রকম হয়ে গিয়েছে। গত দু’বছরে দু’বার ও দু’টি যুবকের সঙ্গে পালিয়েছিল। প্রতি বারই ভাই অনেক কষ্ট করে তাকে খুঁজে এনেছে। তাই ও আমার ভাইকে একদম সহ্য করতে পারত না। সেই রাগ থেকে এমন অভিযোগ করল কি না বুঝতে পারছি না।” তাঁর হাতেই মেয়েকে তুলে দিয়েছে পুলিশ।