প্রযুক্তির ব্যবহার পরীক্ষার টোকাটুকিতেও বিপ্লব এনেছে। ‘হাইটেক টুকলি’তে জেলার বহু নকলনবীশ এখন বিশেষ দক্ষ। শিক্ষা দফতরও বিষয়টি বিলক্ষণ জানে। তার উপর সদ্য শেষ হওয়া মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ দফতরের কর্তাদের অস্বস্তিতে রেখেছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেখানে প্রযুক্তি-নির্ভর টোকাটুকি রুখতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না তাঁরা।
তেহট্ট মহকুমার চারটি প্রধান কেন্দ্র— বেতাই উচ্চ বিদ্যালয়, নাজিরপুর বিদ্যাপীঠ, দেবনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও যমশেরপুর হাই স্কুলের গেটে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হচ্ছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের কারও কাছে মোবাইল রয়েছে কিনা তা গেটে ঢোকার মুখে পরীক্ষা করা হবে। ব্লুটুথ বা মোবাইল-যুক্ত ঘড়ি সঙ্গে রয়েছে কিনা পরীক্ষা করা হবে।
বেতাই স্কুলের শিক্ষক তরুণকুমার পোদ্দার জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় গার্ড দেওয়ার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদেরও মোবাইল নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তার পরেও রাজ্যের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শুরুর পরে প্রশ্নপত্র বাইরে যাওয়ার কথা শোনা গিয়েছে। প্রশ্নপত্রের হার্ড কপি বাইরে না-গেলেও আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে হোয়্যাটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্রের ছবি ফাঁস হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এ বার সে ব্যাপারে উচ্চ শিক্ষা কাউন্সিল কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে।
শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে তেহট্ট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে মেটাল ডিটেক্টর পরিচালনায় পারদর্শী মহিলা ও পুরুষ পুলিশকর্মীদের চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রধান কেন্দ্র ছাড়াও অন্য সব কেন্দ্রে ঢোকার আগে ছাত্র- ছাত্রীদের তল্লাশি করার জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ কর্মীদের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। নদিয়া জেলা পরিদর্শক (মাধ্যমিক) খগেন্দ্রনাথ রায় জানান, নদিয়া জেলার মোট ২৩ টি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হবে। তার মধ্যে তেহট্ট মহকুমার চারটি, রানাঘাট মহকুমার সাতটি ও কৃষ্ণনগর সদর মহকুমার বারোটি পরীক্ষা কেন্দ্র তালিকায় রয়েছে। তেহট্ট মহকুমার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যবেক্ষক অখিলচন্দ্র সরকার জানান, মূলত প্রযুক্তি-নির্ভর টোকাটুকি আটকাতে এক ঘণ্টা আগে হলে ঢুকতে হবে।