শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চালু হল স্কুলের মিড ডে মিল। মঙ্গলবার সুতির মহেন্দ্রপুর গ্রামের ঘটনা। স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের একমাত্র জুনিয়র বেসিক স্কুলে রাঁধুনিদের মধ্যে বিরোধের জেরে গত ১৩ দিন থেকে বন্ধ ছিল মিড ডে মিল। ওই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৬০। শিক্ষক আছেন ৫ জন। প্রধান শিক্ষক তৈমুর ইসলাম জানান, স্কুলে মিড ডে মিল রান্না করে ১০ জন রাঁধুনিদের একটি গোষ্ঠী। দীর্ঘদিন থেকে ওই গোষ্ঠীর নিজেদের মধ্যে গোলমাল চলছে। ফলে মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে থাকে মিড ডে মিলের রান্না। গত ১৩ দিন থেকেও এই অবস্থা চলছিল। বারবার বিডিওকে জানিয়েও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।
এ ভাবে বার বার মিড ডে মিল বন্ধ হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা সমস্ত ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ করেন তৃণমূলের সুতি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের কাছে। অভিযোগ পেয়েই স্কুলে যান তাঁরা। ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রশাসনিক গাফিলতির কারণেই ওই স্কুলে মিড ডে মিল এ ভাবে বন্ধ থাকছে। গত জানুয়ারি ও জুন মাসেও খাবার পায়নি ছাত্ররা।’’
মঙ্গলবার অবশ্য পুলিশ নিয়ে বিডিও ওই স্কুলে যান। পুলিশ গিয়ে রান্নাঘরের তালা ভেঙে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কয়েকজন মহিলাকে দিয়ে রান্নাও করায়। গোষ্ঠীর কিছু মহিলারা আপত্তি তুললেও পুলিশের ভয়ে এ দিন তাঁরা বাধা দেননি। আনিকুল বলেন, ‘‘স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিবাদ জিইয়ে রেখে ওই স্কুলে মিড ডে মিল চালানো কঠিন। তাই দু’-একদিনের মধ্যেই আলোচনায় বসে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করা হবে।’’