হোমে চন্দনা। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘ আট বছর আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। বিস্তর খোঁজখবর চালিয়েও কোনও সন্ধান মেলেনি। বেঁচেও আছেন কি না তাও জানা ছিল না তাঁর পরিবারের। শুক্রবার খবর আসে কেরলের একটি হোমে রয়েছেন নিখোঁজ চন্দনা ভাদুড়ি। যা শুনে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে।
চন্দনার বাড়ি করিমপুরের বাথানপাড়ায়। বাড়ির লোকজন জানান, আট বছর আগে হঠাৎই হারিয়ে যান চন্দনা। তাঁর স্বামী বছর তিপান্নর পরিতোষবাবু বলেন, ‘‘বিয়ের পরে মাথায় একবার চোট পায় চন্দনা। তারপর থেকে মাঝে মাঝে তিনি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতেন।’’ তিনি জানান, ২০১০ সালে দিনমজুরের কাজে গিয়েছিলেন। সে দিন বিকেলে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে দেখতে পাননি।
শুক্রবার বিকেলে করিমপুর ১ ব্লক কার্যালয় থেকে খবর দেওয়া হয় যে, চন্দনার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তিনি কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে একটি ওল্ড এজ হোমে রয়েছেন। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে। থানা ও ব্লক কার্যালয় থেকে যাবতীয় প্রমাণপত্র নিয়ে রবিবার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে করিমপুর থেকে কেরলে যাবেন চন্দনার স্বামী পরিতোষ। করিমপুর ১ বিডিও সুরজিৎ ঘোষ জানান, কেরল থেকে ব্লকে প্রথম ফোন আসে। তারপর তাঁর ছবি ও স্বামীর নাম ঠিকানা আসে। সেই মতো বাড়ির ঠিকানা আনন্দপল্লিতে খোঁজ করেও না পেয়ে ভোটার তালিকা খুঁজে জানা যায় চন্দনার বাড়ি বাথানপাড়ায়। সে খবর পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়। তাঁর পরিবার মহিলাকে নিয়ে আসতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, ‘‘চন্দনার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তাই অর্থ সাহায্য করে মহিলার স্বামীকে যাবতীয় নথি দিয়ে কেরলে পাঠানো হচ্ছে। রবিবার মহিলার স্বামী স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে রওনা দেবেন।’’