অনুর্ধ্ব ষোলোর খেলা চলছে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম।
উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে মাঠের পাশের জড়ো হওয়া মুখগুলো। কেউ গলা ফাটাচ্ছে তো কারও হাত কখন চলে গিয়েছে মুখে। —গোল চাই, গোল...।
‘সব খেলার সেরা’ ফুটবলে ছোটদের উৎসাহ দিতে এ বার মাঠে নামল ডোমকল স্পোর্টিং ক্লাব। মহকুমার ৮টি দল নিয়ে রবিবার ও সোমবার দু’দিনের নক-আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করল তারা। কেবল আয়োজনেই শেষ নয়, খেলা শুরুর দিনই অর্থাৎ রবিবার ডোমকল জনকল্যাণ ময়দানে প্রত্যেক দলের খেলায়াড়দের পোশাক ও দলকে একটি করে ফুটবল দেওয়া হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে।
ক্লাবকর্তাদের কথায়, ‘‘আগামী দিনে ফুটবলকে বাঁচিয়ে রাখতে ছোটরাই ভরসা। ওদের মধ্যে প্রতিভা, ইচ্ছে সবই আছে। আমরা একটু পাশে দাঁড়ালেই স্বপ্ন সত্যি হবে।’’ এ দিন চড়া রোদের মধ্যেও খুদে খেলয়াড়দের চোখেমুখে কোনও ক্লান্তি ছিল না। বরং মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে অনেকেই ছটফট করছিল। ভাবছিল, কখন ডাক পড়বে মাঠে।
আয়োজক ক্লাবের সম্পাদক দেবাংশু সরকার বলেন, ‘‘অনেকেই বলেন নতুন প্রজন্ম ফুটবল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এটা কিন্তু ঠিক নয়। কেবল পরিকাঠামো আর অভিভাবকদের অনিচ্ছার জন্য খেলার মাঠে ছোটরা আর আসছে না।’’ বিষয়টা যে খুব ভুল, তা তো নয়। পিঠে পড়ার বোঝা, স্কুল-বাড়ি-টিউশন ছুটে বেড়ানো, আর খেলা মানেই সময় নষ্ট, অনেক অভিভাবকই এ কথা মনে করেন। মাঠেঘাটে খেলে বেড়ানোর জন্য বকাঝকাও করেন ছেলেকে। দেবাংশুবাবুর কথায়, ‘‘আমরা কিন্তু বছর দুয়েক থেকে ফুটবল কোচিং ক্যাম্প করে বুঝতে পেরেছি, ছোটদের উৎসাহের অভাব নেই। অভাব খেলার উপযুক্ত মাঠ আর অভিভাবকদের ইচ্ছের।’’
ডোমকলের স্পোর্টিং ক্লাবের দু’টি দল, ইসলামপুর মহমায়া ক্লাবের দু’টি দল ছাড়াও ইসলামপুর মর্নিং ক্লাব ডোমকল সেবা সঙ্ঘ কুশাবাড়িয়া ফুটবল অ্যাকাডেমি ও মহমেডান ক্লাবের একটি করে দল খেলেছে এ দিন। এ দিনের খেলায় একা ৩টি গোল করে সকলের নজর কাড়ে সেবা সংঘের আল্লারাখা।
ইসলামপুর মহমায়া ক্লাবের কর্তা সাধন দে বলেন, ‘‘আমরা খুশি এমন খেলার আয়োজনে। পোশাক আর ফুটবল পেয়ে ছোটরাও খুব খুশি। ভবিষ্যতে আরও এমন টুর্নামেন্ট হলে ভাল।’’ এ দিন প্রত্যেকটি খেলায় সেরা খেলয়াড়দেরও পুরস্কৃত করা হয় ক্লাবের তরফে।