নিতান্তই পারিবারিক ঝগড়া, আর তার জেরেই আট মাসের পুত্রকে বাড়ির কাছে নয়ানজুলিতে ছুঁড়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, উদভ্রান্ত হয়ে তার পর, নিজেও রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন ওই মহিলা।
হরিহরপাড়ার বিহারিয়া গ্রামের অমিত আর মৌসুমী মণ্ডলের সম্পর্ক বিয়ের পর থেকেই তেমন মসৃণ ছিল না। পড়শিরা জানাচ্ছেন, কথা কাটাকাটি, ঝগড়া লেগেই থাকত। মাস আটেক আগে তাদের প্রথম সন্তান হওয়ার পরেও সম্পর্কের সেই ফাটল মোছেনি। বুধবার ছেলেকে ‘বেশি’ করে খাওয়ানোর মতো তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ফের বিবাদ চরমে উঠেছিল স্বামী-স্ত্রীর। তা নিয়ে বচসা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ছেলেকে বহরমপুরে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরোন মৌসুমী। তার পর আর ফেরেননি। দিনভর বাড়ি না ফেরায় খোঁজ পড়ে সন্ধ্যায়। পুলিশ জানতে পারে, বহরমপুরের পঞ্চাননতলার কাছে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন যে মহিলা তিনিই মৌসুমী। ডান হাত কাটা গেলেও প্রাণে অবশ্য বেঁচে যান তিনি। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি, তবে সে দিন তাঁর আট মাসের সন্তানের খোঁজ মেলেনি। মা’কে জেরা করার মতো অবস্থাও সে সন্ধ্যায় ছিল না।
শুক্রবার সকালে, বিহারিয়া গ্রামের কাছেই, একটি নয়ানজুলিতে ভাসতে দেখা যায় শিশুটি। মৌসুমীর বিরুদ্ধে এর পরেই হরিহরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অমিত। অভিযোগ, ছেলেকে নয়ানজুলিতে ফেলে খুনের পরে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছে তাঁর স্ত্রী মৌসুমী।
অমিতের বাবা সাধন মণ্ডলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মৌসুমীর ব্যবহার দেখে তাঁর মনে হত মানসিক সমস্যা ভুগছেন বৌমা। তা হলে চিকিৎসা করাননি কেন? তার কোনও উত্তর অবশ্য মণ্ডল পরিবারের কারও কাছে নেই। পুলিশের সামনে তাই অন্য প্রশ্নও উঠেছে। শুধু অমিতের অভিযোগ নয়, পুলিশ খতিয়ে দেখছে, ওই ঘটনার পিছনে অন্য কারও মদত রয়েছে কিনা।