Nabanna

ভাতা বৃদ্ধি চেয়ে নবান্ন অভিযান

যৌথমঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে বৃত্তিমূলক বিভাগের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক প্রশিক্ষক এবং নোডাল কর্মীরা গত জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২০ ০২:৩৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

আবেদন নিবেদনে সাড়া মেলেনি। পথে নেমে আন্দোলন করলেও কেউ গুরুত্ব দেননি। দাবি আদায়ে এ বার মরিয়া হয়ে নবান্ন অভিযানের মতো পথই বেছে নিলেন রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। রাজ্য সরকারের কারিগরি শিক্ষা দফতরের অধীন বৃত্তিমূলক বিভাগে কর্মরত শিক্ষক, প্রশিক্ষক, নৈশপ্রহরী-সহ নোডাল কর্মচারীদের বৃত্তিমূলক যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে এই কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তাঁদের দাবি ২০০৫ সালে এ রাজ্যে বৃত্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা চালু হওয়ার দেড় দশক অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁদের সাম্মানিক, ভাতা বৃদ্ধিসহ সমস্ত রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গত নয় বছর ধরে এই দাবি পূরণে বিভিন্ন সরকারি দফতরের দরজায় ছোটাছুটি করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

Advertisement

প্রশাসন ও যৌথমঞ্চের সদস্যদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের কারিগরি ও প্রশিক্ষণ এবং কৌশল উন্নয়ন দফতরের অধীন বৃত্তিমূলক বিভাগে কর্মরত বিদ্যালয়ের ভিটিসি-র আংশিক এবং চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক বা প্রশিক্ষকের সংখ্যা রাজ্যে কয়েক হাজার। সঙ্গে আছেন চুক্তিভিত্তিক নোডাল কর্মচারীরা। অত্যন্ত স্বল্প ভাতায় তাঁরা বিভিন্ন স্কুলে ভোকেশনাল কোর্সে পড়ানোর কাজটি করে আসছেন বহু বছর ধরে। লকডাউনের শুরু থেকে নিদারুণ আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলেছেন তাঁরা। সর্বনিম্ন ১২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৯০০০ টাকা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে লাগাতর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে চলেছেন কারিগরি শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার কর্মী।

যৌথমঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে বৃত্তিমূলক বিভাগের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক প্রশিক্ষক এবং নোডাল কর্মীরা গত জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের পাঁচটি স্বীকৃতি সংগঠন একযোগে গড়ে তুলেছেন বৃত্তিমুলক যৌথমঞ্চ। যৌথমঞ্চের আহবায়ক তাপস বর্মণ বলেন, “ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমস্ত বৃত্তিমূলক শিক্ষক-প্রশিক্ষক, শিক্ষাকর্মী-সহ নৈশ প্রহরী ও নোডাল কর্মচারী, পার্শ্বশিক্ষক, এসএসকে, এমএসকে, মাদ্রাসা ও ম্যানেজমেন্ট স্টাফ, শিক্ষাবন্ধু, কম্পিউটার শিক্ষক, স্পেশাল এডুকেটর, শিক্ষামিত্র, প্রাণীবন্ধু, আংশিক সময়ের এবং চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মীরা আগামী ১১ই জানুয়ারি ২০২১ তারিখে নবান্ন অভিযান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। চলছে তারই প্রস্তুতি।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন