রাস্তা কেন বেহাল প্রশ্ন সাংসদেরও

চাকদহ ব্লকের বালিয়া বাজার থেকে চাপাতলা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে ভর্তি। চাকদহ থেকে বালিয়া হয়ে শ্রীরামপুর পর্যন্ত বাস চলে। যাত্রীদের অভিযোগ, সেই বাসযাত্রা চরম বিপজ্জনক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ০২:৩৬
Share:

অভিযোগটা এতদিন সীমাবদ্ধ ছিল স্থানীয়দের মধ্যেই। প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে জন প্রতিনিধি— প্রত্যেকেই রাস্তার বেহাল দশার কথা জানতেন। কিন্তু তা নিয়ে হেলদোল ছিল না কারও। চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির হাতে থাকা রাস্তাটি মেরামতির কাজ হয়নি দীর্ঘ দিন।

Advertisement

এ বার সেই রাস্তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন রানাঘাটের তৃণমূল সাংসদ তাপস মণ্ডল। কেন রাস্তার হাল এমন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার উত্তরে পঞ্চায়েত সমিতি জানিয়েছে, ওই রাস্তা সারানোর টাকা তাদের নেই। রাস্তা মেরামতির ভার পূর্ত দফতরকে দেওয়া হয়েছে।

চাকদহ ব্লকের বালিয়া বাজার থেকে চাপাতলা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে ভর্তি। চাকদহ থেকে বালিয়া হয়ে শ্রীরামপুর পর্যন্ত বাস চলে। যাত্রীদের অভিযোগ, সেই বাসযাত্রা চরম বিপজ্জনক। স্থানীয় বাসিন্দা কাঞ্চনা বিশ্বাস বলেন, “প্রতিদিন প্রাণ হাতে নিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। রাস্তার এই অবস্থার জন্য দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। যে কোনও দিন বড়সড় ঘটনা ঘটে যাবে।”

Advertisement

বালিয়ার বাসিন্দা কানু বিশ্বাস বলেন,“দীর্ঘদিন ধেরেই রাস্তার হাল এমন যে গাড়ি চলাচল দূরের কথা, নিরাপদে হাঁটাচলা করাই দায়। বর্ষার সময়ে অবস্থা আরও খারাপ হয়। সামনেই বর্ষা। জানি না কী হবে।’’ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতিকে বার বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

সেখানে রাস্তার কথা বলতে গিয়ে তাপসবাবু গ্রামবাসীদের পাশেই দাঁড়ান। তিনি বলেন, “যে রাস্তা দিয়ে আমি এসেছি, সেই রাস্তার হাল জঘন্য। শুনেছি, বছর পাঁচ-সাতেক আগে থেকেই এই অবস্থা। এতে মানুষের ভোগান্তি হয়। রাস্তা তৈরি করতে পর্যাপ্ত টাকা দেওয়া হয়। শুধু রাস্তা বানালেই হবে না, তার গুণগত মানের দিকেও নজর রাখতে হবে।”

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হরপ্রসাদবাবু বলেন, “মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে জানি। কিন্তু, আমাদের যা আর্থিক অবস্থা, তাতে রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। তাই রাস্তাটিকে পূর্ত দফতরের হাতে তুলে দিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন