Satyen Chowdhury Murder

তৃণমূলের নেতা খুনে ধৃত মোস্তফা দলেরই যুবনেতা

পুলিশ সূত্রের দাবি, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে খুনের পরে তিন অভিযুক্ত তেহট্ট থানার বিনোদনগর পোস্ট অফিস লাগোয়া এলাকায় মোস্তফার আশ্রয়ে ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট, বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বহরমপুরে তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরী খুনে ধৃত তেহট্টের মোস্তফা মণ্ডল এর আগেও এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল। অথচ সে নিজেই নদিয়ার তেহট্ট ১ ব্লক তৃণমূলের কানাইনগর অঞ্চল সহ-সভাপতি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের দাবি, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে খুনের পরে তিন অভিযুক্ত তেহট্ট থানার বিনোদনগর পোস্ট অফিস লাগোয়া এলাকায় মোস্তফার আশ্রয়ে ছিল। খুনের আগে ও পরে অভিযুক্তদের সঙ্গে মোস্তফার যোগাযোগ ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকায় মোস্তফার সুনাম নেই। কলার ব্যবসার আড়ালে সে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত অনেকেরই দাবি।

বিষয়টি অনেকটা প্রকাশ্যে চলে আসে গত বছর জুলাইয়ে। স্থানীয় শ্রীরামপুর বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে কানাইনগর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি আজিজুল শেখকে লক্ষ করে গুলি ছোড়া হয়। তা আজিজুলের ডান কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। আজিজুলের দাবি, “সে দিন মোস্তফা মণ্ডলই গুলি চালিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করি, সে গ্রেফতারও হয়। পরে অবশ্য জামিনে ছাড়া পায়।” তিনি আরও দাবি করেন, “বিনোদনগর হাইস্কুলের সভাপতি নির্বাচনের সময় কুকথা বলেছিল বলে ওকে অনেকে মারধর করেছিল। ও নানা অসামাজিক কাজে যুক্ত।”

Advertisement

কানাইনগর পঞ্চায়েতের ১২৬ নম্বর বুথের বাসিন্দা মোস্তফা। ওই বুথের দু’বারের প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য তফিকুল সর্দারও দাবি করেন, “মোস্তফা সুবিধার লোক না। এ বার ওরাই ছক কষে আমায় হারিয়েছে। মোস্তফা বিভিন্ন অবৈধ কাজকর্মে যুক্ত বলে শুনেছি।” অথচ এই মোস্তফাকে দলের পদ দিতে বাধেনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। কিছু দিন আগেই তেহট্ট ১ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির প্যাডে দেওয়া চিঠিতে তাকে কানাইনগর অঞ্চলের সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়। ব্লক যুব সভাপতি সৌমিত্র সরকারের ব্যাখ্যা, “এলাকায় অনেকের আব্দার ছিল, মোস্তফাকে পদ দেওয়া হোক।” তাঁর দাবি, “গ্রেফতারের কথা শুনেছি। এ-ও জেনেছি যে, সে নির্দোষ। সন্দেহের বশে তাকে ধরা হয়েছে।”
বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের কটাক্ষ, “তৃণমূল চোর-গুন্ডাদের পদ দিচ্ছে, যাতে মানুষকে ভয় দেখিয়ে বাগে রাখতে পারে।” তবে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বক্তব্য, “ওই অঞ্চলে যুব সভাপতি বা সহ-সভাপতি কারও সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়নি। দলেরই এক কর্মীর দিকে গুলি ছোড়ায় জড়িত ছিল মোস্তফা। এ সব কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।”

সত্যেন খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলল বিজেপি। শনিবার সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবিতে পথসভা করেছে কংগ্রেস। তৃণমূল অবশ্য জানিয়েছে, প্রশাসন নিজের কাজ করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন