বিসিকেভি-র শৌচাগারেই লুকিয়ে রহস্য

রহস্য সমাধানের কোনও দিশা এখনও মেলেনি। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৫
Share:

বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়।

রহস্য সমাধানের কোনও দিশা এখনও মেলেনি।

Advertisement

বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধরণীধর পাত্রের ব্যক্তিগত সহায়ক গোপাল সাহা কেন উপাচার্যের অফিসের শৌচাগারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তা স্পষ্ট হয়নি তদন্তকারীদের কাছে। গোপালবাবুর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। কিন্তু এখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে বলে চিকিৎসকেরা এখনই তাঁর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দিতে চাননি। আপাতত তিনি কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

হাবড়ার বাসিন্দা গোপালবাবু অনেক দিন ধরেই বিসিকেভিতে চাকরি করছেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারণ বিভাগে কাজ করতেন। বছর সাতেক হল উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহায়ক হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মীরা জানাচ্ছেন, খানিকটা অর্ন্তমুখী গোপালবাবু কখনও পারিবারিক কোনও সমস্যার কথা নিয়ে আলোচনা করেননি। বৃহস্পতিবার সকালেও একাধিক সহকর্মীর সঙ্গে তিনি হাসিমুখে গল্প করেছেন। তিনি অবসাদে বা মানসিক চাপে রয়েছেন অথবা জটিল কোনও সমস্যায় পড়েছে, এমন কারওই মনে হয়নি। অথচ, বছর বাহান্নর গোপাল সাহাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে রক্তাক্ত অবস্থায় উপাচার্যের কার্যালয়ের শৌচালয় থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর দেহের বিভিন্ন অংশে ব্লেড বা ছুরি জাতীয় ধারাল জিনিসের গভীর আঘাত ছিল। হাসপাতালে দেহে ২০টি সেলাই করতে হয় ও কয়েক বোতল রক্ত দিতে হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গোপালবাবু আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আত্মহত্যার জন্য কিছু কারণ প্রয়োজন হয়। তদন্তে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও কারণ পুলিশ বার করতে পারেনি।

Advertisement

উপাচার্যই পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানান। উপাচার্য বলছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও চাপে এটা হয়নি। কারণ, তিনি হাসিমুখেই সব কাজ করতেন। আর তাঁর উপরে কাজের বিশেষ চাপও ছিল না।’’

পুলিশ জানাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে গোপালবাবুর সঙ্গে যা কথা হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে এখনই এ ব্যাপারে কোনও উপসংহার টানা যাবে না। তিনি সুস্থ হলে আরও বিস্তারিত কথা বলা হবে। শুক্রবার পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে। গোপালবাবু ব্যক্তিগত কিছু জিনিসপত্রও পুলিশ নিয়ে এসেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন