কয়েন কিস্সার শেষ কবে

কয়েন কিস্সার শেষ চেয়ে  গত ২০ জুন বহরমপুরের একটি ছোট বিড়ি কারখানার মালিক জ্যোৎস্না মণ্ডল জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন। জ্যোৎস্না বলছেন, ‘‘জনা দশেক লোককে নিয়ে কারখানাটা চালাই। প্রায় ৬০ হাজার টাকার কয়েন জমেছে। ব্যাঙ্কে কয়েন জমা নিচ্ছে না। এমন চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে।’’

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০৭:২০
Share:

দু’-পাঁচ হাজার নয়, পাক্কা আট লক্ষ টাকার কয়েন! লালবাগের দেবব্রত দত্তের সংবাদপত্রের এজেন্সি আছে। ফলে খুচরোর কারবার করতেই হয়। দেবব্রত বলছেন, ‘‘কয়েন জমতে জমতে এখনও আট লাখে দাঁড়িয়েছে। তার পরেও নেই নেই করে প্রতি মাসে ৫০-৫৫ হাজার টাকার কয়েন আসছে। এ দিকে, ব্যাঙ্কই কোনও ভাবে কয়েন নিতে চাইছে না। নিরুপায় হয়ে আমিও এক টাকা, দু’টাকার কয়েন নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।

Advertisement

পেট্রোল পাম্পগুলিতেও জমেছে কয়েনের পাহাড়। বহরমপুরের একটি পেট্রোল পাম্পের মালিক অমিতাভ মজুমদার বলেন, “ কর্মচারীদের বেতন থেকে কোম্পানিতে টাকা জমা দেওয়া সবই হচ্ছে অনলাইনে। ব্যাঙ্কও কয়েন জমা নিচ্ছে না। কী করব, ভেবেই পাচ্ছি না।’’ কয়েন কিস্সার শেষ চেয়ে গত ২০ জুন বহরমপুরের একটি ছোট বিড়ি কারখানার মালিক জ্যোৎস্না মণ্ডল জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন। জ্যোৎস্না বলছেন, ‘‘জনা দশেক লোককে নিয়ে কারখানাটা চালাই। প্রায় ৬০ হাজার টাকার কয়েন জমেছে। ব্যাঙ্কে কয়েন জমা নিচ্ছে না। এমন চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে।’’

এক ব্যবসায়ী বলছেন, ‘‘ ভিখারিরাও কয়েন নিতে চাইছে না। কারণ, তাঁরা সেই কয়েন নিয়ে তাঁরা আরও বিপাকে পড়ছেন।’’ বঙ্গীয় প্রাদেশিক ব্যাঙ্ক কর্মচারী সমিতির মুর্শিদাবাদের জেলা সম্পাদক তপন ভট্টাচার্য বলছেন, “কর্মী ও কয়েন রাখার জায়গার অভাবে ব্যাঙ্কগুলিতে কয়েন নিতে সমস্যা হচ্ছে।” জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলছেন, ‘‘এটা ব্যাঙ্কের বিষয়। তবে কয়েন না নেওয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

(শেষ)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন