মাকে খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম নীলকমল রায়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের দরজা ভেঙে যমুনা রায়ের (৭৫) পচাগলা দেহ উদ্ধার করে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। পরে বড় ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নীলকমলকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নাকাশিপাড়ার খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা যমুনাদেবীর পাঁচ ছেলে। স্বামী রবীন্দ্রনাথ রায় মারা গিয়েছেন প্রায় ৩৫ বছর আগে। যমুনাদেবী তাঁর ছোট ছেলে শ্যামলের কাছে থাকতেন। পাশের করে থাকতেন নীলকমল। শ্যামল মাস দেড়েক আগে কেরলে কাজ করতে যাওয়ার পর থেকে একাই থাকতেন যমুনা। পাশের ঘরে থাকলেও নীলকমলের সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না যমুনার। এক বার তিনি নীলকমলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে খেতে না দেওয়া ছাড়াও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগও করেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে অজিতেও নীলকমলের মধ্যে বছর তিনেক ধরে বিবাদ চলছে। সেই কারণেই সে যমুনাকে খুন করেছে বলে মনে করছে পুলিশ।
আর এক ছেলে অজিতের দাবি, মঙ্গলবার সকালে যমুনাকে খাবার দিয়ে তিনি কাজে চলে যান। সন্ধ্যেয় বাড়ি ফিরে মাকে না দেখে তিনি পাড়ায় খোঁজ করেন। কিন্তু কোনও সন্ধান পাননি।
দু’দিন ধরে যমুনার সন্ধান না পাওয়ায় সন্দেহ হয় পড়শিদের। পরে ঘর থেকেই উদ্ধার হয় বৃদ্ধার দেহ। পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলছেন, “খুনের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। তদন্ত শুরু হয়েছে।”