ছেলের হাতে নিগ্রহ, পুলিশের দ্বারস্থ বৃদ্ধা

নবদ্বীপ প্রাচীন মায়াপুরের (সাউথ) বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি তিনি নিজের ছেলের হাতেই নিগৃহীত হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২৫
Share:

জরাজীর্ণ বসতবাড়ির সংস্কার করাতে গিয়ে ছেলের বউ এবং নাতনির হাতে নিগৃহীত হলেন ছিয়াত্তর বছরের এক বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার নবদ্বীপ থানায় এই মর্মেই ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন শান্তিবালা সূত্রধর।

Advertisement

নবদ্বীপ প্রাচীন মায়াপুরের (সাউথ) বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি তিনি নিজের ছেলের হাতেই নিগৃহীত হয়েছেন।

ওই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে গত তিরিশ বছর ধরে তিনি তাঁর স্বামীর ভিটেতেই বসবাস করে আসছেন। কিন্তু সেই বসতবাড়ি অতি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তা যে শুধুমাত্র বসবাসের অযোগ্য হয়েছে, এমনটাই নয়, বাড়িটির অবস্থাও বর্তমানে বিপজ্জনক। সম্প্রতি যে কারণে তিনি বাড়িটির সংস্কারের কাজে উদ্যোগী হন।

Advertisement

অভিযোগ, ওই বৃদ্ধা সেই বাড়ির যে অংশে থাকেন, সেখানে সংস্কারের সামান্য কাজ করতে গেলেও তাঁকে বাঁধা দেয় তাঁর মেজ ছেলে স্বপন সূত্রধর। তাঁর দাবি, ছেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা চলাকালীন তাঁকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেন তাঁর বউমা এবং নাতনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বসতবাড়ি নিয়ে বৃদ্ধার সঙ্গে তাঁর মেজ ছেলের আগে থেকেই আইনি লড়াই চলছে আদালতে।

এ দিন শান্তিবালা অভিযোগ করে বলেন, “আমার বড় এবং ছোট ছেলে আলাদা থাকে। মেজ ছেলে পরিবার নিয়ে আমার স্বামীর ভিটেয় থাকে। কিন্তু আমার কোনও দায় নেয় না। আমায় খেতে-পড়তেও দেয় না। কোনও রকমে দিন কাটাচ্ছি।’’

তিনি আক্ষেপ করে জানান, এই রকম অবস্থায় তাঁর মাথার উপরের ছাদটুকুই সম্বল। কিন্তু বর্তমানে সেই বসতবাড়িও ভেঙে পড়ার উপক্রম। সংস্কার না করলে যে কোনও দিন তা ভেঙে পড়তে পারে। তাই তিনি বাড়িটি সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছিলেন। কিন্তু সে সব সমস্যার কথা শুনতে নারাজ তাঁর নিজের ছেলেই।

শান্তিবালা বলেন, ‘‘বাড়ি সারানোর কাজে হাত দিতেই আমায় ছেলে-বৌমার অকথ্য অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়। তাই বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’’

ছেলে এবং তাঁর পরিবারের কাছে ওই অসহায় বৃদ্ধার একটাই আবেদন— ‘‘যে ক’দিন বাঁচব, যেন একটু শান্তিতে বাঁচতে পারি।”

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন