TMC

প্রকাশ্যেই বিভাজন তৃণমূলে

সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং পদযাত্রার আয়োজন করা হয় তৃণমূলের তরফে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:২৫
Share:

প্রতীকী চিত্র

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে বিক্ষোভ সমাবেশ। কিন্তু সেখানেও তৃণমূলের বিভাজন চাপা রইল না। শান্তিপুরে দলের ব্লক কমিটির ডাকা সমাবেশে অন্য জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতি থাকলেও দেখা গেল না বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে। কাছেই অন্য জায়গায় আলাদা সমাবেশ করলেন তিনি। আবার বীরনগরেও দলের মিছিলে দেখা গেল না পুর প্রশাসককে।

Advertisement

সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং পদযাত্রার আয়োজন করা হয় তৃণমূলের তরফে। সোমবার সন্ধ্যায় শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েতের মনসাতলা এলাকায় শান্তিপুর ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজিত হয়। ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দীপক বসু, শান্তিপুর পুরসভার পুর প্রশাসক অজয় দে, জেলা পরিষদের সদস্য নিমাই বিশ্বাস, দলের এসসি এসটি ওবিসি শাখার নেতা সৈকত দাস-সহ অন্যরা। জেলা নেতৃত্ব সেখানে উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম। তবে কাছেই হরিপুর পঞ্চায়েতেরই হেমায়েতপুর মিদ্যেপাড়া মোড়ের কাছে অন্য একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে ছিলেন বিধায়ক। ছিলেন শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রীনা প্রামাণিকও। সাম্প্রতিক কালেও বারবার দলের মধ্যে বিবাদ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। সভায় কেন গরহাজির বিধায়ক? শান্তিপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তপন সরকার বলেন, “সকলকে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছিল। বিধায়ককেও জানিয়েছি। কেন এলেন না জানি না।” যোগাযোগ করা যায়নি বিধায়ক অরিন্দমের সঙ্গে। সোমবারই বীরনগর শহরে তৃণমূলের তরফে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ছিলেন শহর তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দাস, প্রাক্তন উপপুরপ্রধান এবং পুরসভার প্রশাসক পর্ষদের সদস্য গোবিন্দ পোদ্দার। ছিলেন আরও কয়েকজন প্রাক্তন কাউন্সিলর। তবে পদযাত্রায় দেখা যায়নি বীরনগরের প্রাক্তন পুরপ্রধান এবং পুরসভার প্রশাসক পর্ষদের চেয়ারপার্সন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শহর তৃণমূলের ডাকে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহর তৃণমূলের সভাপতি এবং প্রাক্তন উপ পুরপ্রধানের শিবিরের সঙ্গে প্রাক্তন পুরপ্রধানের শিবিরের কোন্দল দীর্ঘ দিনের। অনেক বারই তা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রাক্তন পুরপ্রধান পার্থ বলেন, “কর্মসূচিতে ডাক পাইনি, তাই যাইনি। তবে কর্মীরা গিয়েছিল।” আর প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান গোবিন্দ পোদ্দার বলেন, “পার্থবাবুকেও ডাকা হয়েছিল এদিনের কর্মসূচিতে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন