নিষেধাজ্ঞা: ধুবুলিয়ায় সেই বিল। নিজস্ব চিত্র
খালের ভরাট হয়ে যাওয়া অংশ অবিলম্বে আগের অবস্থায় ফেরানোর নির্দেশ দিলেন কৃষ্ণনগর ২ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর (বিএলএলআরও)। ওই নির্দেশ অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সপ্তাহখানেক আগে ওই খালের একাংশ ভরাট করার অভিযোগ উঠেছিল ধুবুলিয়ার বিজেপি নিয়ন্ত্রিত সাধনপাড়া ১ পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিডিও, বিএলএলআরও, ধুবুলিয়া থানার ওসি-র কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তা পেয়েই ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক শৈবাল চট্টোপাধ্যায় সাত দিনের মধ্যে খালের ভরাট করা অংশ পূর্বাবস্থায় ফেরানোর নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠান।
কৃষ্ণনগর ২-এর বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্যও বলেন, “প্রধানের স্বামীকে নোটিস পাঠিয়ে ওই জমির ভরাট করা অংশ পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে ধুবুলিয়ার বনগ্রাম ও ঘাটেশ্বরের মাঝে সরকারি বিলের একাংশে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছিল। সাধনপাড়া ১ পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা মোদকের স্বামী অসিত মোদক বনগ্রাম ও ঘাটেশ্বর লাগোয়া বেলেদহ বিলের রাস্তা লাগোয়া ২৬ শতক জমিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছিলেন বলে অভিযোগ।
এলাকার লোকেরা ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তাঁদের বক্তব্য, বর্ষায় অন্তত ২০টি গ্রামের অতিরিক্ত জল এই বিল দিয়ে গঙ্গায় বয়ে যায়। তা না হলে গোটা এলাকা বানভাসি হয়ে যাবে। তা ছাড়া ওই বিলের জলে পাট পচানো থেকে শুরু করে রিভার লিফটিং প্রকল্পের মাধ্যমে সেচের জল সরবরাহ হয়। জমি বেদখল হয়ে গেলে বিলের মুখ ছোট হয়ে যাবে। ফলে বর্ষায় বড় সমস্যা হবে।
ওই অভিযোগ পেয়ে বিডিও, ওসি এবং বিএলএলআরও তদন্তে যান। তার পরেই অসিত মোদককে নোটিস পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, তাঁর বাবার নামে থাকা ওই জমি বছরের অধিকাংশ সময় জলমগ্ন থাকে। নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তিনি তা ভরাট করেছেন। তাতে জল নিকাশির সমস্যা হবে। তাই সাত দিনের মধ্যে জমি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। অসিত মোদক নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।