জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ

মমতার সফরের আগেই আয়া-ঘর তৈরির নির্দেশ

কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতলে আয়া-রাজ বন্ধ করতে দিন কয়েক আগেই ফরমান জারি করেছিল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি। স্থানীয় এক কাউন্সিলরের ভাইয়ের দখলে থাকা, হাসপাতাল চত্বরের একটি ঘরেই আপাতত আয়াদের বসার ঘর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩৮
Share:

কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতলে আয়া-রাজ বন্ধ করতে দিন কয়েক আগেই ফরমান জারি করেছিল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি।

Advertisement

স্থানীয় এক কাউন্সিলরের ভাইয়ের দখলে থাকা, হাসপাতাল চত্বরের একটি ঘরেই আপাতত আয়াদের বসার ঘর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই মতো কাজও শুরু করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তবে সে কাজে গতি পেল মুখ্যমন্ত্রীর আসন্ন সফর।

Advertisement

আগামী শুক্রবার কল্যাণীতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে জেএনএমের ওই ঘরটি আয়াদের জন্য তৈরি করার কাজ শেষ করার জন্য ফের নির্দেশ জারি করল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

আয়াদের হাসপাতালে ঢোকার ক্ষেত্রে যে ছাড় দেওয়া হয়েছিল, রবিবারই ছিল তার শেষ দিন। এ দিনের বৈঠকে জ্যোতিপ্রিয় স্পষ্ট করে দেন, হাসপাতালের মধ্যে এক জন আয়াও থাকবেন না। তাঁদের বসতে হবে ওই নির্দিষ্ট ঘরে।

এত দিন ওই ঘরটি স্থানীয় কাউন্সিলর অমর রায়ের ছেলের হোটেল। অভিযোগ, আয়াদের দৌরাত্ম্যও চলত বাবা-ছেলের প্রশয়েই। যদিও বার বার অভিযোগ উঠলেও, তাদের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা এত দিন নেওয়া যায়নি। শুধু আয়া নয়, অভিযোগ হাসপাতালের সব বিষয়েই এক সময় অমরবাবুই ছিলেন নিয়ন্তা। তাঁর ভয়ে হাসপাতালের কর্তারা পর্যন্ত মুখ খোলার সাহস দেখাতে পারতেন না।

তবে ছবিটা বদলে যেতে শুরু করেছিল মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তার পরেই।

দলের মহাসচিব, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অমরকে ডেকে পার্টি থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তার পরেই কল্যাণীর এসডিও স্বপন কুণ্ডুর নেতৃত্বে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপ করেন।

এ দিন মন্ত্রী বলেন, ‘‘যা সিদ্ধান্ত হয়েছে কাজ হবে সেই মতোই। এবং তা শুরু করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফকরের আগেই।’’

স্থানীয় পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সেই ঘরটিতে কিছু কাজ বাকি রয়েছে, চেষ্টা চলছে দু’-তিন দিনের মধ্যেই কাজ শেষ কারার। তার পর হাসপাতালের পরিচয়পত্র পাওয়া ১৬২ জন আয়া ওই ঘরেই বসবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement