Panchayat Election

তাপসের বিরুদ্ধে সিবিআই? নির্বাচনের মুখে অস্বস্তি দলে

তেহট্টের রাজনীতিতে বার বারই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। এক দিকে বিধায়ক তাপস সাহা, অন্য দিকে জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা।

Advertisement

সাগর হালদার  

তেহট্ট শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ০৮:১৮
Share:

সিবিআইয়ের নজরে তাপস। — ফাইল চিত্র।

তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা নিয়োগ-দুর্নীতিতে জড়িত কি না তা জানতে সিবিআই তদন্তের বিষয়টি হাই কোর্টে‌ বিবেচনাধীন রয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার ফের সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। হাই কোর্ট যদি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দেয়, তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তেহট্ট বিধানসভা এলাকায় দল বড়সড় অস্বস্তির মুখে পড়বে, যার ধাক্কা ফলাফলেও লাগবে বলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের অনেকেই মনে করছেন। যদিও স্থানীয় নেতারা প্রকাশ্যে তা স্বীকার করতে নারাজ।

Advertisement

তেহট্টের রাজনীতিতে বার বারই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। এক দিকে বিধায়ক তাপস সাহা, অন্য দিকে জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা। একে অপরকে বিভিন্ন বিষয়ে নিশানা করেছেন। গত বিধানসভা ভোটের পর দু’জনের দূরত্ব তৈরি হয়। সেই সময়ে টিনা ‘দলবিরোধী’ কাজ করেছিলেন বলে দোষারোপ করেছিলেন তাপস। তাঁর বিরুদ্ধে স্কুলে বা সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার লিখিত অভিযোগ বা অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আসার পিছনেও টিনার চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করেন তাপস। সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তাপসের বিরুদ্ধে পাল্টা নানা অভিযোগ করেন টিনা। ঘটনাচক্রে, টিনার বিরুদ্ধেও একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ সংবলিত পোস্টার সনমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আবার এর পিছনে বিধায়কের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন টিনা। এই হল বর্তমানে তেহট্টে তৃণমূলের হাল, প্রত্যাশিত ভাবে যা থেকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে বিরোধীরা।

গত বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকায় বিজেপির ভাল রকম হাওয়া থাকা সত্ত্বেও প্রায় সাত হাজার ভোটে জিতেছিলেন তাপস সাহা। কিন্তু তার পর থেকেই একের পর এক ঘটনা অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূলকে। সিপিএমের দাবি, এই দুই নেতানেত্রীর আচরণ বুঝিয়ে দিচ্ছে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার পরিণাম কী হতে পারে। দলের তেহট্ট দক্ষিণ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস বলেন, “কেউ চাকরি দেওয়ার নামে টাকা গুছিয়েছে, কেউ বাড়িয়েছে সম্পত্তি। সবই বুঝছে সাধারণ মানুষ। পঞ্চায়েত ভোটে তারা বুঝিয়ে দেবে।” অন্য দিকে, বিজেপির উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের মতে “তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিতে ভরা। তেহট্টের নাম খারাপ করছেন তাদের দুই নেতানেত্রী। এর থেকে হাস্যকর কী আর হতে পারে!”

Advertisement

তবে তেহট্ট ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বরূপ রায়ের দাবি, “এতে পঞ্চায়েতে ভোটে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না।” তবে তাপস ও টিনার কাদা ছোড়াছুড়ি প্রসঙ্গে তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, “এই দু’জনকে নিয়ে যা হচ্ছে তাতে কর্মীরা হতাশ। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যাতে কোনও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই জিনিস দ্রুতবন্ধ হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন