পঞ্চায়েতে ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূল

গীতাঞ্জলি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ তুলে শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েতে ভাঙচুর চলল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতের কয়েকজন তৃণমূল সদস্যের উপস্থিতি ও মদতে ওই ভাঙচুর চলে। আর ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। এ দিন বিক্ষোভের সময় পঞ্চায়েত থেকে প্রধান ও কর্মীদের বার করে দেওয়া হয়। তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৬ ০১:২৮
Share:

গীতাঞ্জলি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ তুলে শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েতে ভাঙচুর চলল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েতের কয়েকজন তৃণমূল সদস্যের উপস্থিতি ও মদতে ওই ভাঙচুর চলে। আর ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল।

Advertisement

এ দিন বিক্ষোভের সময় পঞ্চায়েত থেকে প্রধান ও কর্মীদের বার করে দেওয়া হয়। তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েতে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

ওই পঞ্চায়েতে বেশ কিছুদিন ধরেই শাসক দলের অর্ন্তদ্বন্দ্ব চলছিল। প্রধান ও উপপ্রধানের সঙ্গে অন্যান্য কয়েকজন তৃণমূল সদস্যের মনোমালিন্য তৈরি হয়। সম্প্রতি সেই বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে বলে জানা গিয়েছে। প্রধান নমিতা সরকার বলেন, “আমি নিজের ঘরে বসেছিলাম। সেই সময় আমাদের দলেরই দুই সদস্য অসীম বালা, স্বরজিৎ বর্মন ও বান্টি বিবি খাতুনের স্বামী জামশেদ খাঁ লোকজন নিয়ে আমাকে অপমানজনক কথা বলতে থাকেন। তাঁরা কর্মীদের বার করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কর্মীরা আমার ঘরে আশ্রয় নেন। এতেও শেষরক্ষা হয়নি। ভিতরে থাকা নিরাপদ নয় বুঝতে পেরে কর্মীদের নিয়ে বেড়িয়ে আসি। আমার বসার চেয়ার ভাঙে। তার আগেই সভাঘরের চেয়ার-টেবিল ভাঙা হয়।’’

Advertisement

ভাঙচুরের কথা স্বীকার না করলেও অসীম বালা, স্বরজিৎ বর্মনরা বলেন, “আমাদের এলাকার কেউ গীতাঞ্জলী প্রকল্পে ঘর পায়নি। এটা পুরোপুরি প্রধানের চক্রান্ত। প্রধানই চক্রান্ত করে আমাদের এলাকার লোকজনের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন।’’ তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নমিতা সরকার। তিনি বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ। ওই তালিকা বানানোর ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের কোনও ভূমিকা নেই। পঞ্চায়েত ৩৬ জনের নামের জেলায় পাঠিয়েছিল। তারমধ্যে ২৪টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে। কোন এলাকার লোকজনের নাম বাদ গিয়েছে, তা আমি বলতে পারব না।’’ রানাঘাটের মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “তদন্ত করে দেখা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন