পানশিলার নিখোঁজ কিশোরী উদ্ধার কৃষ্ণনগরে

তবে ওই দিন উদ্ধারের আগে পর্যন্ত পানশিলা সারদাপল্লির বাসিন্দা ওই কিশোরী সাথী নন্দী জানতে পারেনি তার মা দীপিকাদেবীর মৃত্যুর কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

তিন দিন আগে মায়ের সঙ্গে মিষ্টি কিনতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া খড়দহের কিশোরীকে উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে কৃষ্ণনগর থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, মাস কয়েক আগে পরিচয় হওয়া এক যুবকের সঙ্গেই তাঁর বাড়িতে চলে গিয়েছিল ওই কিশোরী।

Advertisement

তবে ওই দিন উদ্ধারের আগে পর্যন্ত পানশিলা সারদাপল্লির বাসিন্দা ওই কিশোরী সাথী নন্দী জানতে পারেনি তার মা দীপিকাদেবীর মৃত্যুর কথা। উদ্ধারের পরে সাথীকে জানানো হয়, রবিবার সে নিখোঁজ হওয়ার পরে রাতেই তার মা অ্যাসিড খেয়ে নিয়েছিলেন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তা শুনে কান্নায় ভেঙে পরে সে।

পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, কিশোরীকে অপহরণ ও বিয়ে করার জন্য ভুলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সোমনাথ কুণ্ডুকে। অন্য দিকে বৃহস্পতিবার সকালে গোপন জবানবন্দি দিতে সাথীকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলার পরে বাবা রাধেশ্যামবাবু জানান, মেয়ের বাড়ি থেকে পালানোর কোনও পরিকল্পনা ছিল না। মাকে না বলে ওই যুবকের সঙ্গে ঘুরতে চলে গিয়ে রাত হয়ে যাওয়ায় বকুনির ভয়ে আর ফিরে আসেনি সাথী। তাকে নিয়ে সোমনাথ ট্রেন ধরে কৃষ্ণনগরে চলে যান। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পরে সাথীর ব্যাগ থেকে একটি সিম কার্ড মিলেছিল। মা দীপিকাদেবীর ফোনে সেটি লাগিয়ে ফোনও করত ওই কিশোরী। সিম কার্ডটি পরীক্ষা করে দু’টি অপরিচিত নম্বর পান তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে সিম কার্ড ব্যবহারকারী সোমনাথের নাম। স্যোশাল মিডিয়ায় ওই যুবকের অ্যাকাউন্ট থেকেও তাঁর ঠিকানা সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হয় পুলিশ। পাশাপাশি খড়দহ থানার তদন্তকারীরা সাথীর কয়েক জন বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলেও নিশ্চিত হন সোমনাথ সম্পর্কে। এর পরেই বুধবার সন্ধ্যায় রাধেশ্যামবাবুকে সঙ্গে নিয়ে কৃষ্ণনগরের মাঝেরপাড়ার বাগচী লেনে রওনা হন তদন্তকারীরা। সেখানে সোমনাথের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় সাথীকে। ওই যুবক ছাপাখানায় কাজ করেন। কিশোরীর পরিবার সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগে দীপিকাদেবীর জ্যেঠুর বাড়িতে একটি বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে গিয়েছিল সাথী। দিদির বাড়িতে ঘুরতে আসেন সোমনাথ। সেখানে দু’জনের আলাপ হয়। এর পরে ফোনে সাথীর সঙ্গে প্রায়ই কথা হত ওই যুবকের। মাঝে মধ্যে খড়দহে বিভিন্ন জায়গায় দু’জনে দেখাও করত। রবিবার দুপুরে খড়দহে এসেছিলেন সোমনাথ। দুপুরে দেখা করার পরে বিকেলে মায়ের সঙ্গে মিষ্টি কিনতে গিয়ে ফের সোমনাথের সঙ্গে ঘুরতে চলে গিয়েছিল সাথী।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন