দুই জেলায় আতঙ্ক বাস-যাত্রায়

রেলপথের দাবি উঠল ‘দেওয়ালে’

করিমপুর ও ডোমকল রেলপথের দাবি জানিয়ে আসছে সেই কবে থেকে। রেল বাজেটের দিন চাতকের মতো টিভির সামনে বসে থাকেন দুই এলাকার লোকজন। রাজনীতির কারবারিদের কাছ থেকেও এ বিষয়ে কম প্রতিশ্রুতি মেলেনি। কিন্তু নিট ফল, ফক্কা!

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৪০
Share:

কপাল-লিখনের পরোয়া না করে সীমান্ত ব্যস্ত ওয়াল-লিখনে। ওয়ালে-ওয়ালে একটাই দাবি- ‘রেলপথ চাই’।

Advertisement

রেলপথ কবে হবে কিংবা আদৌ হবে কি না, তা সময় বলবে। কিন্তু সীমান্ত ঘেঁষা করিমপুর ও ডোমকল এ বার একবগ্গা। রেলপথের দাবি জোরালো করতে ওই দুই এলাকার বহু মানুষ এখন জোট বাঁধছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। করিমপুর ও ডোমকল রেলপথের দাবি জানিয়ে আসছে সেই কবে থেকে। রেল বাজেটের দিন চাতকের মতো টিভির সামনে বসে থাকেন দুই এলাকার লোকজন। রাজনীতির কারবারিদের কাছ থেকেও এ বিষয়ে কম প্রতিশ্রুতি মেলেনি। কিন্তু নিট ফল, ফক্কা!

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে বালির ঘাটে বাস দুর্ঘটনার পরে সে দাবি আরও জোরালো হয়েছে। দাবি জানানোর মাধ্যম হিসেবে বাছা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুককেই। ওই দুই এলাকার বহু মানুষ মনে করেন, কৃষ্ণনগর-বহরমপুর ভায়া করিমপুর ও ডোমকল রেলপথ থাকলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। এই রুটে যাতায়াতের সবথেকে বড় ভরসা বাস। কমবেশি সব বাসের কৃষ্ণনগর ও বহরমপুরে পৌঁছে ট্রেন ধরানোর তাড়া থাকে। সময়, গতির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে সেই তাড়া কখনও কখনও কাল হয়।

Advertisement

অ্যাডমিনদের দাবি, শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম, সর্বত্রই এখন ইন্টারনেট পরিষেবা মিলছে। বহু বিষয় ও মতামত উঠে আসছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঠিক সেই কারণে রেলপথের বিষয়টিও এখানেই তুলে ধরা হয়েছে। তাতে সাড়াও মিলছে ব্যাপক। অরাজনৈতিক ভাবেও যে কিছু হতে পারে সেটাই এ বার প্রমাণ করতে হবে।

সম্প্রতি করিমপুরের যমশেরপুর বিএন হাইস্কুলের শিক্ষক দূর্বাদল দত্ত ফেসবুকে রেলপথের দাবি জানিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে বিপুল সাড়া পেয়ে তিনি হোয়াটস অ্যাপে একটি গ্রুপ খোলেন। সেখানে সদস্য সংখ্যা এখন শতাধিক। দূর্বাদল বলছেন, “প্রাথমিক কাজটা শুরু করেছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখানেই ব্যাপারটা সীমাবদ্ধ থাকবে না। রেলের সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে আদালত যাব।’’ জলঙ্গির মামুন সিরাজ বিক্ষিপ্ত ভাবে রেলপথের দাবি জানিয়ে ফেস বুকে নানা রকম পোস্ট করতেন। তিনিও এ বার উঠেপড়ে লেগেছেন।

ডোমকলের মোস্তাফিজুর রহমান, করিমপুরের শিবেন সাহা জানান, গনি খান চৌধুরী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রাথমিক পর্যায়ে একটি প্রস্তাব এবং সমীক্ষা হয়েছিল। তিরিশ বছর আগে করিমপুর কৃষ্ণনগরে রেলকম বাসও চলত। শিয়ালদহ ও করিমপুরে রেলের টিকিটও পাওয়া যেত। ২০০৯ সালের রেল বাজেটেও এই এলাকায় রেলপথের কথা বলা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী ও অধীর চৌধুরী রেল প্রতিমন্ত্রী থাকার সময়েও স্বপ্ন দেখেছিলেন সীমান্তের মানুষ। লোকসভায় এ নিয়ে সরব হন সাংসদ বদরুদ্দোজা খানও। কিন্তু কিছুই হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন