মানাচ্ছে-তো? বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র
তাপমাত্রা নেমেছে অনেকটা। মোটর বাইক দূরে থাক, সাইকেল চালানোর কথা ভাবলেও গায়ে জ্বর আসছে। কনকনে ঠান্ডায় সাইকেলে হ্যান্ডেল ছুঁলে শক লাগছে। ভরসা হাতমোজা। কিন্তু বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, চাইলেই বাজারে পছন্দমতো হাতমোজা অন্তত এই শীতে আশা না করাই ভাল। যা ছিল তা শেষ। এখন নতুন করে না বাহারি হাতমোজা না আসা পর্যন্ত ব্যাজার মুখে ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
শীতের ঠেলায় সোয়েটার, আর শৌখিন চাদর কেনাকাটার থেকেও খোঁজ পড়ছে মাঙ্কি-ক্যাপ, মাফলার, উলিকটের ফুল ইনারের মতো পোশাকের। জানুয়ারি শুরুতেই তাপমাত্রা ১৪-১৫ ডিগ্রি থেকে কয়েক দিনের মধ্যে সাত-আটে নামায় কাঁপছে করিমপুর থেকে কান্দি।
ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢিমে তেতালা ছন্দে এগোচ্ছিল শীত। কিন্তু দেওয়ালে ক্যালেন্ডার বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে আমূল বদলে গেল শীতের চরিত্র। দুই জেলার শহরাঞ্চলে সব থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে রুম হিটার, ব্লোয়ার, জল গরম করার ইমার্সন রড ও গিজার। বিক্রেতারা জানান, হটকেকের মতো বিকোচ্ছে ব্লোয়ার ও রুম হিটার। নবদ্বীপের বৈদ্যুতিন সামগ্রীর ব্যবসায়ী রজতকুমার দাস বলছেন, ‘‘প্রতি বছর এই সময় অল্প কিছু রুম হিটার বিক্রি হয়। বিশেষ করে যাঁদের বাড়িতে বৃদ্ধ বা শিশু আছে তাঁরাই ওই সব কিনতেন। কিন্তু এ বার রুম হিটারের যে এত চাহিদা বাড়বে তা আগে বুঝতে পারিনি।”
বহরমপুরের এক ব্যবসায়ী অপু মজুমদার বলছেন, ‘‘এ বছরের মতো রুম হিটার বা ব্লোয়ারের এমন চাহিদা আগে দেখিনি। নতুন করে রুম হিটার ও ব্লোয়ারের অর্ডার করেছি।’’
দিন-রাতে ঠান্ডা হাওয়া বইছে। তা থেকে রেহাই পেতে শীতপোশাক কিনতে দোকানে ভিড় বাড়ছে। লেপ-কম্বলের বিক্রি এখন তুঙ্গে। নবদ্বীপের পোশাক ব্যবসায়ী দীপক সাহা জানান, চাহিদা বেড়েছে উলিকটের পোশাকেরও। সব মিলিয়ে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। জমে উঠেছে ব্যবসাও।