আটক: গাড়িবোঝাই প্লাস্টিক।
এত দিন ছিল অনুরোধ। এ বার অনুশাসন।
প্ল্যাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নবদ্বীপ পুরসভা প্রচার শুরু করেছিল ২০১৬-র সেপ্টেম্বর থেকে। কখনও লিফলেট বিলি করে, কখনও মাইকে ঘোষণা, কখনও আবার পায়ে হেঁটে সরাসরি ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে প্ল্যাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ, চায়ের কাপ কিংবা থার্মোকলের থালা, বাটির মতো জিনিস বিক্রি বন্ধে বারবার আবেদন জানায় পুরসভা। কিন্তু সেই ঘোষণায় কান দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই। আর তাই সর্বত্র দেদার বিকোচ্ছিল প্ল্যাস্টিক।
প্ল্যাস্টিক নিয়ন্ত্রণে পুরসভার সদিচ্ছা নিয়েই যখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ঠিক তখনই নড়ে বসল নবদ্বীপ পুরসভা। শনিবার সকাল থেকেই পুরকর্মীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নবদ্বীপ বড়বাজারের প্রায় তিরিশটি ছোট-বড় দোকানে হানা দেন। সঙ্গে বেশ কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ীর গুদামেও অভিযান চালানো হয়। দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কয়েক লক্ষ টাকার প্ল্যাস্টিকের ক্যারিব্যাগ, চায়ের কাপ, গ্লাস ও থার্মোকলের থালা, বাটি। অভিযানের কথা আগাম জানতে পেরে অনেকেই দোকান-গুদামে তালা ঝুলিয়ে সরে পড়েন।
পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দিব্যেন্দু আচার্যের কথায়, ‘‘পঞ্চাশ মাইক্রোনের নীচে কোনও প্ল্যাস্টিকের দ্রব্যই বিক্রি করা যাবে না।’’ নবদ্বীপের পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, “নবদ্বীপকে যে কোনও মূল্যে প্ল্যাস্টিক-মুক্ত করতে হবে।’’ নবদ্বীপ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নিরঞ্জন দাসের কথায়, “পুরসভা বহু দিন ধরেই সতর্ক করছে। কিন্তু কিছু লোক পাত্তা দিচ্ছিলেন না। এত দিনে পুরসভা সঠিক জায়গা ঘা দিয়েছে।’’