মহড়া: মমতাকে নিয়ে এই মাঠে নামবে হেলিকপ্টার। নিজস্ব চিত্র
হেলিকপ্টারে আসবেন হেভিওয়েট। কিন্তু হেলিপ্যাড হবে কোথায়?
কেন, খেলার মাঠে!
ব্যস! বার বার ছুটে আসবেন প্রশাসনের কর্তারা। খুঁটিয়ে দেখবেন কাজকর্ম। খেলা শিকেয় তুলে তৈরি হবে হেলিপ্যাড।
তার পর?
ক্ষুব্ধ ডোমকল বলছে, সমস্যাটা তো এখানেই। মাঠ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বেমালুম ভুলে যাবেন প্রশাসনের কর্তারা। সবুজ হারিয়ে দগদগে ক্ষত বুকে কোনও রকমে পড়ে থাকবে মাঠটাই। সেখানে খেলা করা মুশকিল হয়ে যাবে। বছরের পর বছর ধরে এমনটাই তো চলছে।
১২ এপ্রিল ডোমকলের একটি খেলার মাঠে প্রশাসনিক সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে প্যান্ডেল ছাড়াও তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাড। বিকল্প হিসেবে আরও একটি হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে শহরের আর একটি স্কুলের মাঠে। এ দিকে, রবিবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফাইনাল খেলা থাকলেও হেলিপ্যাডের সৌজন্যে তা বন্ধ রাখা হয়েছে। একই কারণে বন্ধ প্রাতঃভ্রমণ-সব খুদেদের খেলাধুলোও।
স্থানীয় ক্রীড়া মহলের দাবি, হেলিপ্যাড নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। এলাকায় হেলিকপ্টার আসবে, হেভিওয়েট লোকজন আসবেন, সভা-মিটিং-মিছিল সবই হবে। কিন্তু খেলার মাঠটাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার কথা আর কারও মনে থাকে না বলেই সমস্যা হয়। মাঠের এমন দফারফা হয় যে, অনেক দিন খেলাধুলো বন্ধ রাখতে হয়। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ধীমান দাস বলেন, ‘‘এর আগে রাষ্ট্রপতি ডোমকলে এসেছিলেন। সে বারেও মাঠে হেলিপ্যাড তৈরির কারণে বছর দেড়েক মাঠে কোনও খেলা হয়নি। আমরা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কিছুটা সংস্কার করলেও সে মাঠ খেলার উপযুক্ত হয়নি।’’
ডোমকল ভোরের আলো ক্লাবের কর্তা সেলিমুল ইসলাম বলছেন, ‘‘মূলত ওই দু’টি মাঠে আমরা রোজ ভোরে ফুটবল খেলি। সভার জন্য দু’টি মাঠ আমরা আর ব্যবহার করতে পারছি না। সেটা আমাদের কাছে বড় সমস্যা নয়। সভা তো এক দিনেই শেষ হবে। কিন্তু তার পরে ওই মাঠের দিকে আর ফিরেও তাকাবে না প্রশাসন।’’
প্রশাসনের কর্তারা অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন, ‘‘সভা শেষ হলেই মাঠ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’’ সভার পরে সেই মাঠ কত দিনে খেলার উপযুক্ত হয় সেটাই এ বার দেখতে চায় ডোমকল।