গুজব রুখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পুলিশ। গ্রেফতার, কড়া বার্তা, মাইকে প্রচার— কোনও কিছুই বাদ রাখা হচ্ছে না।
বুধবার রাতে সেই পুলিশের সামনেই গুজব ছড়ানোর অভিযোগে সটান শ্রীঘরে চাকদহের এক যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম রবীন্দ্র বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার কল্যাণী আদালতে তোলা হলে বিচারক ওই যুবককে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এ দিন সন্ধ্যার পরে চাকদহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে বেরিয়েছিল পুলিশ। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। চাকদহ শহরের শেষ প্রান্তে ঘুঘিয়া এলাকায় মাইক হাতে পুলিশ প্রচার করছিল—‘গুজব ছড়াবেন না, গুজবে কান দেবেন না।’ অভিযোগ, ঠিক সেই সময়ে রবীন্দ্র গুজব ছড়াচ্ছিলেন, ‘‘এই তো শুনলাম, মদনপুরে ডাকাতি হয়েছে। দুষ্কৃতীরা মহিলাদের অত্যাচারও করেছে। ওদের কী ছেড়ে দেব নাকি? পেলে পিটিয়ে মেরে ফেলব।’’
ব্যাস, পুলিশ আর দেরি করেনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার পরেই পুলিশের হুঁশিয়ারি, ‘‘গুজব ছড়ালেই পরিণাম এমনই হবে।’’ বৃহস্পতিবার থেকে গুজব রুখতে মাইকের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে লোকজনের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলছে পুলিশ। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ডেকে নেওয়া হচ্ছে এলাকার বিশিষ্ট লোকজনকেও।
পুলিশের দাবি, গুজবের জেরে গণপিটুনির ঘটনায় পুলিশ ধরপাকড় শুরু করতেই গুজব ছড়ানো কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার নতুন কোনও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেনি। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর ঘটনায় বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক পড়ুয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে তাকে ধরা হবে।
এ দিন গঙ্গাপ্রসাদপুরে বেশ কয়েক জন যুবক বলে বেড়াচ্ছিলেন, অপরিচিত লোক দেখলেই তাঁরা ভোটের সচিত্র পরিচয়পত্র দেখতে চাইবেন। দেখাতে না পারলে তাঁরা নিজেদের মতো ব্যবস্থা নেবেন। বিষয়টি জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ওই যুবকেরা ভুল স্বীকার করে আর করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় কড়া নজর রাখা হচ্ছে।