Political party

সংগঠন বাড়াতে ‘ধর্মীয় তাস’, অভিযোগ

দিল্লির ওই সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মের আড়ালে ভোটের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার ফলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার করে তুলেছে।

Advertisement

বিদ্যুৎ মৈত্র

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৩৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সদ্য শেষ হওয়া বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ছায়া যে এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রচ্ছন্ন ভাবে পড়ছে, নির্বাচন পর্যালোচনা সংক্রান্ত একটি সমীক্ষায় তারই স্পষ্ট উল্লেখ মিলেছে। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা রিপোর্ট তা পরোক্ষে সমর্থনও করছে বলে সম্প্রতি জানা গিয়েছে।

Advertisement

দিল্লির ওই সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মের আড়ালে ভোটের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার ফলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার করে তুলেছে। যার ফলে ধর্মের নামে রাজনীতিতেও মেরুকরণের ইশারা মিলেছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় সম্প্রতি ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন-এর (এমআইএম) সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা তারই বাস্তব চেহারা বলে মনে করা হচ্ছে। এমআইএমের জেলা পর্যবেক্ষক আসাদুল শেখ বলছেন, “নিজেদের নিরপেক্ষ দাবি করলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল স্বাধীনতার পর থেকে মুসলিমদের শুধু ভোটে ব্যবহার করেছে। সে কথা মানুষ বুঝেছে বলেই আজ তারা স্বেচ্ছায় আমাদের দলে নাম লেখাচ্ছে।” আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট টানতে মুর্শিদাবাদে ২২টি আসনেই প্রার্থী দেবে এমআইএম। জঙ্গিপুর বিধানসভা য় প্রার্থী হবেন আসাদুল। গোয়েন্দাদের দাবি, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় এমআইএমের সংগঠন গত কয়েক মাসে কিছুটা ছড়িয়েছে। জনমানসে তা প্রভাব কতটা ফেলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মের নামে তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলে গোয়েন্দাদের আশঙ্কা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নতুন বছরের শুরুতে জেলায় আসার কথা এমআইএমের রাজ্য পর্যবেক্ষক মাজিত হোসেনের।

ডিসেম্বরের গোড়ায় এমআইএমকে জনসভা করার অনুমতি অবশ্য দেয়নি জেলা পুলিশ। তবে তার তোয়াক্কা না করে ঘরোয়া বৈঠকেই এমআইএম তাদের প্রভাব বিস্তারের নানান কৌশল নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বছরখানেক আগে নাম না করে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দলকে কট্টরপন্থী সংগঠন দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, রাজ্যের কোথাও তাদের সভা-সমিতির অনুমতি দেওয়া হবে না। জেলা বিজেপি সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “এমআইএম দেশবিরোধী শক্তি। বিজেপি এই ধরনের শক্তির সঙ্গে আপোস করে না।’’ সঙ্গে তাঁদের হুমকি, এমআইএম-কে সভা সমিতি করার অনুমতি জেলা পুলিশ দিলে তাকে সংখ্যালঘু তোষণ বলেই মনে করে বিজেপি। যা শুনে বিজেপি-বিরোধীরা বলছেন, ‘‘আদতে বিজেপি একটি মৌলবাদী রাজনৈতিক দল, তাদের পাল্টা এমআইএম এ জেলায় শক্তিবৃদ্ধির চেষ্টা করছে এবং তা ধর্মীয় তাস খেলে। তাই বিজেপি’র এত গাত্রদাহ!’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খানের কথায়, “আরএসএস এবং এমআইএম মুদ্রার এ-পিঠ ও-পিঠ। ও হিন্দুদের ডাকছে তো এ মুসলমানদের ডাকছে, এই তো হচ্ছে। এটা একেবারেই কাম্য নয়।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন