মহব্বতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়

নালা কেটে বের করা হচ্ছে জল

গত সাত দিনে টনক নড়েনি প্রশাসনের। তবে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে হইচই শুরু হল। মাত্র সাত ঘন্টাতেই ধুলিয়ানের মহব্বতপুর প্রাথমিক স্কুল চত্বর থেকে জমা জল বের করার কাজ শুরু করল প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৫ ০০:৫৮
Share:

গত সাত দিনে টনক নড়েনি প্রশাসনের। তবে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে হইচই শুরু হল। মাত্র সাত ঘন্টাতেই ধুলিয়ানের মহব্বতপুর প্রাথমিক স্কুল চত্বর থেকে জমা জল বের করার কাজ শুরু করল প্রশাসন।

Advertisement

দেরিতে টনক নড়ার ফলে ইতিমধ্যেই জমা জলে ডুবে প্রাণ গিয়েছে এক শিশুর। ওই ঘটনার পর থেকে গত সাত দিন স্কুলে ছেলেমেয়েদের পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন অভিভাবকেরাও।

রাস্তা কেটে ধুলিয়ানের মহব্বতপুর স্কুল চত্বর থেকে বুধবার জমা জল সরানোর কাজ শুরু করে সামশেরগঞ্জের ভাসাই পাইকর গ্রাম পঞ্চায়েত। বুধবার স্কুলের জল পরিস্থিতি দেখতে সকাল সাড়ে ১০টাতেই স্কুলে হাজির হয়ে যান ধুলিয়ানের ভারপ্রাপ্ত অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুমন্ত রানা। যান ভাসাই পাইকর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও। ছিলেন সর্বশিক্ষা মিশনের এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। ঘণ্টা দুয়েক স্কুলের অবস্থা দেখে সকলে যান স্থানীয় বিডিওর কাছে। এ দিন সকাল থেকেই স্কুল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে পাকা রাস্তায় ২ ফুট চওড়া ও প্রায় আড়াই ফুট গভীর গর্ত কেটে জল বের করার কাজও শুরু করা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গোলাম রাব্বানি জানান, জমা জল বের হতে দু’দিন সময় লাগবে। জল সরলে ওই স্কুলের সামনে যাতায়াতের মতো উঁচু করে একটা রাস্তা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও। সেটাও তৈরি করে দেওয়া হবে যাতে শিশুরা সহজেই সেই পথ দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে পারে। জল সরলে স্কুলের চারিদিকে ব্লিচিং ও কার্বলিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

তবে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, গত সাত দিনে স্কুলের পরিস্থিতির কথা জেনেও স্কুল চত্বর থেকে জল বের করার এই ব্যবস্থাটাই করার কোনও চেষ্টা করেনি প্রশাসন ও পঞ্চায়েত। সংবাদপত্রে স্কুলের দুর্দশার খবর প্রকাশ হতেই ৬/৭ ঘন্টার মধ্যে কাজ শুরু হল। তাঁদের আক্ষেপ, প্রশাসনের যদি আগেই টনক নড়ত তাহলে হয়তো ওই শিশুটিকে এ ভাবে জলে ডুবে মরতে হত না!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement