ফরাক্কায় পোস্ত চাষ, প্রশ্নের মুখে প্রশাসন

সম্প্রতি দেশের অন্যতম  সেরা থানার  তকমা পেয়েছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা। আর সেই থানা এলাকাতেই কয়েকশো বিঘে জমিতে চলছে বেআইনি  পোস্ত চাষ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:১২
Share:

চলছে পোস্ত চাষ। ফরাক্কায়। নিজস্ব চিত্র

সম্প্রতি দেশের অন্যতম সেরা থানার তকমা পেয়েছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা। আর সেই থানা এলাকাতেই কয়েকশো বিঘে জমিতে চলছে বেআইনি পোস্ত চাষ।

Advertisement

২০১৫ সাল থেকেই কুলিদিয়ার ও হোসেনপুরে পোস্ত চাষ শুরু হলে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনাকে খবর পেয়ে বহরমপুর থেকে ছুটে আসতে হয়। ফরাক্কার পুলিশ ও আবগারি দফতর নীরব থাকায় ক্ষুব্ধ এডিএম নিজে দাঁড়িয়ে থেকে চার দিন ধরে অভিযান চালিয়ে কেটে ফেলেন ফরাক্কার সমস্ত পোস্ত গাছ। কিন্তু তার পরেও ওই এলাকায় আবগারি ও পুলিশের নজরদারি যে বিশেষ নেই তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে পোস্ত চাষের রমরমা। এ বার সেই পোস্ত চাষ ছড়িয়েছে শিকারপুর, হোসেনপুর ও পারদেওনাপুরে। গত বছরের থেকে প্রায় দ্বিগুণ জমিতে পোস্ত চাষ হয়েছে সেখানে। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, “আগে ওই চরের জমিতে রবিশস্য চাষ করতেন এলাকার বাসিন্দারা। কিছু লোক মাসখানেক থেকে পোস্ত চাষ করার জন্য অন্য চাষিদের ভিড়তেই দেয়নি সেখানে।’’ হোসেনপুরের এক চাষির কথায়, “মাস খানেক আগেই পোস্ত চাষ শেষ। এখন গাছ ১০ ইঞ্চি থেকে ১ ফুট বেড়ে গিয়েছে। কোনও কোনও জমির মাঝে আবার গাঁজার গাছও বেড়ে উঠছে।”

পুলিশ, পঞ্চায়েতকে এ সব জানাননি কেন? এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘ওদের জানিয়ে কী হবেল ওরা তো সবই দেখছে। আবগারি ও পুলিশকে জানাতে গেলে দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে গ্রামে থাকতেই পারব না।’’ জঙ্গিপুরের আবগারি দফতরের সুপার এনায়েত রাব্বি বলছেন, “এই বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে আমাদের নিষেধ করা হয়েছে।’’

Advertisement

জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, “আমরা শুক্রবার পঞ্চায়েত প্রধান ও আবগারি দফতরকে নিয়ে বেআইনি পোস্ত চাষ রুখতে একটি বৈঠক করেছি। প্রধানদের বলা হয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে সভা করে কোথায় পোস্ত চাষ হয়েছে তা পুলিশকে জানাতে। সোমবার থেকে পুলিশ পোস্ত গাছ নিধনে নামবে। যারা চাষ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন