বাড়িতে ফিরল মেয়ে, হাজতে গেল প্রিয়া-রন্টি

দাসপুর থেকে উদ্ধার করে আনা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হল। দাসপুরে যার বাড়িতে মেয়েটি ছিল, প্রিয়া মান্না নামে প্রথম বর্ষের সেই ছাত্রী ও অপহরণের অভিযোগে ধৃত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা রন্টি বিশ্বাসকে শনিবার আদালতে তোলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নওদা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৬
Share:

দাসপুর থেকে উদ্ধার করে আনা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হল।

Advertisement

দাসপুরে যার বাড়িতে মেয়েটি ছিল, প্রিয়া মান্না নামে প্রথম বর্ষের সেই ছাত্রী ও অপহরণের অভিযোগে ধৃত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা রন্টি বিশ্বাসকে শনিবার আদালতে তোলা হয়। দু’জনকেই জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল নওদার আমতলার বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়া ওই ছাত্রী। তার পরিবার রন্টির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। শেষে গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে প্রিয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

Advertisement

কেন, কী করে নওদা থেকে অত দূর চলে গেল মেয়েটি?

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় ‘সেলের বাজার’ যাবে বলে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল মেয়েটি। আধ ঘণ্টার মধ্যে তার ফেরার কথা ছিল। পুলিশের দাবি, আমতলা হাটের রাস্তার বাঁ দিকে কালো গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল রন্টি। ছাত্রীটি আসতেই সে জানালার কাচ নামিয়ে চিৎকার করে ডাকে। সাইকেলে বসেই কিছু কথা বলে মেয়েটি। হাত নাড়িয়ে সে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু রন্টি চালককে গাড়ি চালাতে বলে পিছনের দরজা খুলে তাকে প্রায় টেনে তুলে নেয়। ওই জায়গাতেই পড়ে থাকে সাইকেল।

পুলিশের দাবি, প্রত্যক্ষদর্শীরা বুঝে ওঠার আগেই গাড়ি নাগালের বাইরে চলে যায়। প্রায় ২৩ কিলোমিটার দূরে বেলডাঙায় পৌঁছে রন্টি গাড়ি থেকে নেমে যায়। তখন প্রায় সন্ধে। গাড়িটি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে প্রায় কৃষ্ণনগরের কাছে একটি দোকানে গিয়ে দাঁড়ায়। সেখান থেকে জল ও খাবার নেওয়া হয়। রাতটা কলকাতায় কোথাও কাটিয়ে ভোরে গাড়ি ছোটে দাসপুর। তবে সেই রাস্তার কোনও কথাই খেয়াল নেই বলে ছাত্রী জানায়।

ছাত্রীটির বাড়ির লোক রন্টির নামে অপহরণের অভিযোগ করেছিলেন। তাকে ধরে জ‌েরা করার পরে জানা যায়, তিন জনের চেনাজানা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে। গত ১ ও ২ এপ্রিল প্রিয়ার সঙ্গে ছাত্রীটির ১৫-১৮ বার ফোনে কথা হয়েছিল। মেয়েটির বাবা নওদার বড় ব্যবসায়ী। পুলিশের সন্দেহ, সেই কারণেই তাকে আটকে রেখে মোটা মুক্তিপণ আদায় করার ছক কষা হয়েছিল। পুলিশ পিছু ধাওয়া করায় তা বানচাল হয়ে যায়। মেয়েটিকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় প্রিয়াকে। মেয়েটির বাবা বলেন, ‘‘পুলিশ দ্রুত সক্রিয় না হলে মেয়েকে হয়তো পেতাম না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন