—প্রতীকী চিত্র।
বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দিদের হাতে মোবাইল ফোন পাওয়ায় জেলে নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। বুধবার দুপুরে জেল কর্তৃপক্ষের তল্লাশিতে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুই বন্দি জাহাঙ্গির আলম ও মহম্মদ নাসিমের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ফোন, পাথর, ধারালো চামচ, ব্লেড ও দড়ি উদ্ধার হয়। জাহাঙ্গিরের বিরুদ্ধে সিউড়ি থানায়, নাসিমের বিরুদ্ধে ইকবালপুর থানায় মাদক মামলা রয়েছে।
এই ঘটনায় জেল সুপার দীপককুমার সারকি বন্দিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে প্রশ্ন, কী ভাবে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও মোবাইল পৌঁছোল বন্দিদের কাছে? সংশোধনাগারে বন্দি কুখ্যাত আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) জঙ্গি তারিকুল ইসলাম-সহ একাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গি থাকায় আশঙ্কা বাড়িয়েছে এই ঘটনা। গত বছরও খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত জঙ্গি শাদ রাডি এই জেল থেকে মোবাইলে এবিটি-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বলে প্রমাণ মিলেছিল।
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়মিত ভিডিয়ো কলে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকলেও বন্দিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ। তদন্তে মোবাইলের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে শাদ রাডির মোবাইল ব্যবহারের ঘটনায় জেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল। এ বারেও একই ‘কাণ্ড’! পুলিশের বিশেষ দল ও সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ যৌথ ভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। মোবাইল সরবরাহের রুট ও অভ্যন্তরীণ যোগসাজশের খবর পেতে জেল কর্মী-বন্দিদের জেরা করা হতে পারে বলেও শোনা গিয়েছে।