bird sanctuary

পাখিরালয় গড়তে ফের ভাবনাচিন্তা সুতিতে

প্রশাসন সূত্রে খবর, জলাশয়ের মজে যাওয়া অংশ নতুন করে খোঁড়ার পাশাপাশি তার চারধারে সৌন্দর্যায়নও হবে। অযত্নে পড়ে থাকা জলাশয়টি আগের অবস্থায় ফিরে এলে, ফের সেখানে আসবে পরিযায়ী পাখির দল।

Advertisement

জীবন সরকার

সুতি শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৪৫
Share:

এখানেই হওয়ার কথা পাখিরালয়। নিজস্ব চিত্র।

বছর কয়েক আগে প্রকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছিল। তারপর নানা কারণে উৎসাহে ভাটা পড়েছিল। ফলে সুতির আহিরণে জলাশয়কে কেন্দ্র করে পাখিরালয় তৈরির কাজও থমকে গিয়েছিল। ফের সেখানে পাখিরালয় তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে ব্লক প্রশাসন।

Advertisement

মুর্শিদাবাদে পর্যটনকেন্দ্রের অভাব নেই। কিন্তু সুতিতে পর্যটনের তেমন কোনও জায়গা নেই। কিন্তু জেলার পর্যটন মানচিত্রে সুতিকে জায়গা দিতে আহিরণে থাকা ৬৫ একর একটি জলাশয়কে কেন্দ্র করে পাখিরালয় তৈরির কথা ভাবা হয়েছিল। জঙ্গিপুরের সাংসদ থাকাকালীন প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ও এ ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে খবর। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ধারে আহিরণের ৬৫ একর সেই জলাশয়কে কেন্দ্র করে এশিয়ার বৃহত্তম পাখিরালয় গড়ে তোলার কথা ভাবা হয় সেইসময়। কিন্তু অভিযোগ, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে তা বাস্তবায়িত করা হয়নি। বর্তমানে জলাশয়টি কচুরিপানায় ভর্তি। অনেকটা অংশ মজেও গিয়েছে। তবে সেই পাখিরালয় তৈরির ব্যাপারে ফের উদ্যোগী হয়েছেন সুতি-১ ব্লকের বিডিও এইচএম রিয়াজুল হক। মজে যাওয়া জলাশয়কে মাছ চাষের উপযোগী করতে এবং পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা মোখলেসুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি তিনি ওই জায়গাটি পরিদর্শন করেন। এর পরেই মজে যাওয়া জলাশয় খুঁড়তে শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন।

প্রশাসন সূত্রে খবর, জলাশয়ের মজে যাওয়া অংশ নতুন করে খোঁড়ার পাশাপাশি তার চারধারে সৌন্দর্যায়নও হবে। অযত্নে পড়ে থাকা জলাশয়টি আগের অবস্থায় ফিরে এলে, ফের সেখানে আসবে পরিযায়ী পাখির দল। ফলে নানা রকমের পাখির আনাগোনা বাড়লে এলাকায় পর্যটকের সংখ্যাও বাড়বে। গড়ে উঠবে পর্যটনকেন্দ্র। তাকে কেন্দ্র করে দোকান-বাজরও বসার সম্ভাবনা। ফলে এলাকার অর্থনীতির ছবিটাও দ্রুত পাল্টে যাবে বলে আশা প্রশাসনের। আহিরণের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক উত্তম ঘোষ বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই তো শুনছি আহিরণের ওই জলাশয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে পর্যটনকেন্দ্র। কিন্তু কই কিছুই তো হল না গত কয়েক বছরে। আবার শুনছি, প্রশাসন নতুন করে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি তো বটেই।’’ বিডিও জানান, মজে যাওয়া জলাশয়কে তার আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। হবে একটি সুন্দর পার্ক। জলাশয়ের চারদিকের পাড় উঁচু করে, সুন্দর ভাবে সাজান হবে। জলাশয়ে থাকবে মাছ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন