চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
বদলি করতে হবে এবং তা বাড়ির কাছে।
সোমবার রাত থেকে এই দাবিতে অনড়, নদিয়া প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের ঘরের সামনে সোমবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভও।
পালা করে চলা সেই অবস্থান চলেছে মঙ্গলবার সকালেও। তাঁরা জানাচ্ছেন, যত দিন না বাড়ির কাছাকাছি কোনও স্কুলে বদলি করা হচ্ছে, ততদিন তাঁদের অবস্থান প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই।
তাঁদের অভিযোগ শুনতে সোমবার রাতেই এসেছিলেন সংসদের চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ রায়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এক প্রস্ত কথাও হয় তাঁর। তবে, ফল হয়নি।
আন্দোলনকারীদের দাবি, অনেক দিন ধরে চেয়ারম্যান তাঁদের আশ্বাস দিয়ে আসছেন, কার্যকর আর হয়নি। এখন নতুন শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, বদলির সম্ভাবনা এর ফলে আরও ক্ষীণ হয়ে আসছে। তার জেরেই এই অবস্থান।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনিন্দিতা দাস, মুক্তি সিংহরা বলেন, “জেলায় অন্তত চারশো জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন যাঁদের প্রতি দিন আশি থেকে একশো কিলোমিটার রাস্তা উজিয়ে স্কুলে যেতে হয়। যা সাময় লাগে তার পরে ক্লাস করা সম্ভব!’’
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এক কর্তা অবশ্য জানাচ্ছেন— প্রতিবন্ধী অথবা কোনও মহিলা শিক্ষকের স্কুলে যাতায়াতের অসুবিধার ফলে যদি ক্লাস নেওয়াই শিকেয় ওঠে, তা হলে তাঁকে হোম সার্কেল বা বাড়ির কাছাকাছি দূরত্বে বদলি করা যেতে পারে, অন্যথায় নয়। সংসদের ওই কর্তা বলেন, ‘‘তবে, গোটা ব্যাপারটাই নির্ভর করছে জেলা সংসদের পর্যবেক্ষনের উপর।’’
রমাপ্রসাদবাবুর দাবি, ‘‘মানবিক কারণে অনেক সময়ে হোম সার্কেলে বদলি করা হয়ে থাকে। তবে, এর কোনও বাঁধা নিয়ম নেই।’’
এটাই প্রথম নয়, গত ডিসেম্বরেও একই দাবিতে অবস্থান করেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষকেরা। ঘেরাও করা হয়েছিল ডিআইকেও।