অসময়ের বৃষ্টিতেও উত্তপ্ত গোষ্ঠী-কোন্দলের কুপিলা

রবিবার রানিনগরে তৃণমূলের সভায় ডোমকলে পুরপ্রধান সৌমিক হোসেনকে বলতে না দেওয়া নিয়ে ডোমকলের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় চর্চা। আর তা থেকেই চলে বচসা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০৯
Share:

নিজস্ব চিত্র  

সোমবার সকাল থেকে গ্রামের কোন্দলের আবহাওয়ায় বৃষ্টির মধ্যেও তপ্ত ছিল কুপিলা। মঙ্গলবারের দিনভর বৃষ্টিও সে উত্তাপ কমাতে পারেনি। পুলিশি টহলের মধ্যেই তাই আচমকা দুই গোষ্ঠীর ছুটোছুটি, হুঙ্কার শোনা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মইদুল হালসানা নামে যে যুবক জখম হয়েছিল সোমবার, তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

তবে ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। রবিবার রানিনগরে তৃণমূলের সভায় ডোমকলে পুরপ্রধান সৌমিক হোসেনকে বলতে না দেওয়া নিয়ে ডোমকলের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় চর্চা। আর তা থেকেই চলে বচসা। সোমবার তার জেরেই শুরু হয় বোমাবাজি। ডোমকলের কুপিলা গ্রামে তৃণমূলের দু’পক্ষের লড়াইয়ে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে।

গ্রামবাসীদের দাবি, এই লড়াই পুরানো। মূলত ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই এ লড়াই চলছিল। কিন্তু সৌমিক ও পুলিশের চাপে পড়ে তারা মাথা তুলতে পারেনি। এখন সুযোগ পেয়ে মাথা চাড়া দিয়েছে সৌমিক বিরোধী পক্ষ। আর তার ফলেই শুরু হয়েছে বোমার লড়াই। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই লড়াই কেবল কুপিলা নয়, ডোমকলের আরও অনেক গ্রামে শুরু হয়েছে। কুশাবাড়িয়া, ঘোড়ামারা, গড়াইমারিতেও দু’পক্ষ অস্ত্রে শান দিচ্ছে। পুলিশের একাংশের দাবি, যে ভাবে একই দলের দু’পক্ষ তৈরি হচ্ছে তাতে পুলিশের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হবে। শাসক দল যদি কর্মীদের লাগাম না ধরে তাহলে ফল ভোগ করতে হবে সকলকে। ডোমকলের এসডিপিও মাকসুদ হাসান বলেন, ‘‘কুপিলা প্রায় স্বাভাবিক। তবে পুলিশ টহল দিচ্ছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন