লখনউ মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কা। — ফাইল চিত্র।
দল প্রায় তৈরিই ছিল। মঙ্গলবার আবু ধাবিতে আইপিএলের নিলামে দলের বোলিং গভীরতা বাড়িয়ে নিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। দুই শক্তিশালী বোলারের পাশাপাশি এক অলরাউন্ডারকেও কিনেছে তারা। ছ’জন ক্রিকেটার কিনতে খরচ হয়েছে ১৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। তবু এক ক্রিকেটারকে না পাওয়ায় আক্ষেপ রয়েছে মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কার।
প্রথম সেটেই লখনউ ২ কোটি টাকায় কিনে নেয় শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গকে। রবি বিশ্নোইয়ের পরিবর্ত হিসাবেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। গত দু’বছর ভাল খেলতে পারেননি রবি। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বোলার অনরিখ নোখিয়াকেও ২ কোটি টাকায় কিনেছে লখনউ। কলকাতা ছেড়ে দিয়েছিল নোখিয়াকে। আইপিএলে ৪৮টি ম্যাচে ৬১টি উইকেট রয়েছে নোখিয়ার।
মুকুল চৌধরিকে ২.৬০ কোটি টাকায় কিনেছে লখনউ। এই উইকেটকিপার-ব্যাটারের পিছনে এত খরচ করায় অবাক অনেকেই। কারণ দলে আগে থেকেই ঋষভ পন্থ রয়েছেন। শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার জশ ইংলিসকে ৮.৬০ কোটি টাকায় কিনেছে লখনউ।
নিলামের মাঝেই গোয়েন্কা আক্ষেপ করেন মাথিশা পাথিরানাকে নিয়ে। তাঁকে কলকাতা কিনেছে ১৮ কোটি টাকায়। গোয়েন্কা বলেন, “আমাদের অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক খুব করে চেয়েছিল পাথিরানাকে দলে নিতে। আমিও চেয়েছিলাম। অনরিখ নোখিয়াকেও চেয়েছিলাম। তবে পাথিরানা আগে ছিল। আমরা ১৭.৮ কোটি পর্যন্ত লড়াই করেছি। ওটাই আমাদের শেষ সীমা ছিল। তার বেশি অর্থ ছিল না।”
কম দামে নোখিয়াকে পেয়ে অবাক গোয়েন্কা। বলেছেন, “নোখিয়ার নাম পরে আসায় ওকে বেস প্রাইসে কিনে নিতে পেরে অবাক হয়েছি। আমাদের নিলামের কৌশল বেশ ভাবনাচিন্তা নিয়ে করা হয়েছিল। তা সফল হয়েছে। আমরা নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি। একজন আন্তর্জাতিক লেগস্পিনার এবং জোরে বোলার চেয়েছিলাম। হাসরঙ্গ এবং নোখিয়াকে পাওয়ায় তা পূরণ হয়েছে।”
ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ (২ কোটি), অনরিখ নোখিয়া (২ কোটি), মুকুল চৌধরি (২.৬ কোটি), নমন তিওয়ারি (১ কোটি), অক্ষত রঘুবংশী (২.২ কোটি) এবং জশ ইংলিস (৮.৬ কোটি)।
আব্দুল সামাদ, আয়ুষ বাদোনি, এডেন মার্করাম, ম্যাথু ব্রিৎজ়কে, হিম্মত সিংহ, ঋষভ পন্থ, নিকোলাস পুরান, মিচেল মার্শ, শাহবাজ় আহমেদ, আর্শিন কুলকার্নি, মায়াঙ্ক যাদব, আবেশ খান, মহসিন খান, মণিমারান সিদ্ধার্থ, দিগ্বেশ রাঠি, প্রিন্স যাদব, আকাশ সিংহ।
মহম্মদ শামি (হায়দরাবাদ থেকে), অর্জুন তেন্ডুলকর (মুম্বই থেকে)।