নিজস্ব চিত্র
প্রিয় শিক্ষক বেণীমাধব দাসকে ওড়িশার কটকের র্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুল থেকে নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে বদলি করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। সেই শিক্ষকের টানেই ১৯১৩ সালে কৃষ্ণনগরে এসেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এখানে এসে আলাপ হয় স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমন্ত সরকারের সঙ্গে। তার পর তাঁরা দু’জন মিলে ১৯১৩ সালে কৃষ্ণনগরের কলেজ স্ট্রিটে শ্রমজীবী মানুষের জন্য একটি নৈশ বিদ্যালয় তৈরি করেন। সেই ‘নেতাজি ভবন’-এর আজ ভগ্নদশা। স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে কবেই। বেওয়ারিশ হিসেবে এই বাড়িটি অধিগ্রহণ করে কৃষ্ণনগর পুরসভা। নেতাজি অনুধ্যায়ন কেন্দ্র নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এখন বাড়িটির দেখভাল করে। নেতাজি কৃষ্ণনগরে এলে যে চেয়ারে বসতেন, সেটাও সংরক্ষণ করে রেখেছে তারা।
সেই বাড়িতেই সোমবার নেতাজি অনুধ্যায়ন কেন্দ্র, দৈয়েরবাজারের সেন্ট্রাল মডেল সৈনিক স্কুল, সিস্টার নিবেদিতা শিশু শিক্ষা নিকেতন যৌথ ভাবে নেতাজির জন্মদিন পালন করে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কারামন্ত্রী অবনীমোহন জোয়ারদার। বাড়িটির সংস্কারে তিনি সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন।