Mamata Banerjee

সব উদ্বাস্তুকে দলিল? প্রশ্ন বাস্তুহারাদের

সোমবার হবিবপুর ছাতিমতলার মাঠে তৃণমূলের জনসভায় ছিলেন সফল রানাঘাট শহর, লাগোয়া উদ্বাস্তু শহর কুপার্স এবং তাহেরপুর-সহ অন্য কিছু উদ্বাস্তু এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

সৌমিত্র সিকদার

কুপার্স ক্যাম্প শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২১ ০০:৫৬
Share:

ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী কী করে উদ্বাস্তুদের সকলকে নিঃশর্তে দলিল দিতে পারেন, সেই প্রশ্ন তুলছে উদ্বাস্তুদের সংগঠন সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদ তথা ইউসিআরসি।

Advertisement

সোমবার হবিবপুর ছাতিমতলার মাঠে তৃণমূলের জনসভায় ছিলেন সফল রানাঘাট শহর, লাগোয়া উদ্বাস্তু শহর কুপার্স এবং তাহেরপুর-সহ অন্য কিছু উদ্বাস্তু এলাকার বাসিন্দারা। সেখানে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ রাজ্যের উদ্বাস্তুদের নিঃশর্তে দলিল দেওয়া হবে। তাঁরা যেখানে যে অবস্থায় রয়েছেন, সেখানকার দলিল পাবেন। ওই সব এলাকার দেড় লক্ষ পরিবারকে পাট্টা দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

ইউসিআরসি-র নদিয়া জেলা কমিটির সম্পাদক তথা কুপার্সের বাসিন্দা অশোক চক্রবর্তীর প্রশ্ন, “মুখ্যমন্ত্রী কী করে বলেন, সব উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত দলিল দেবেন? অনেক কলোনি রয়েছে, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের জমি রয়েছে। সেই জমি যতক্ষণ রাজ্যের হাতে না আসছে, তারা এই জমির দলিল দিতে পারে না। তাতে যাকে দলিল দেওয়া হচ্ছে, আগামী দিনে সেই বাসিন্দা বিপদে পড়তে পারেন। জমি যার নিজের নয়, সে কী করে অন্যকে জমি দেবে? যে জমি রাজ্য সরকারের নয়, সেই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নই বা করবেন কী করে?”

Advertisement

কুপার্স ক্যাম্প নোটিফয়েড এরিয়ার ৮, ৯ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় সরকারে জমি রয়েছে। কিন্তু সেখানেও দলিল দেওয়ার তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কুপার্সের পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা শিবু বাইন বলেন, “১০ নম্বর ওয়ার্ডে ৩১৮টি পরিবারের হাতে নিঃশর্ত দলিল তুলে দেওয়া হবে। সেই কাজ শেষ হয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মানচিত্র ও দলিল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ৯ ওয়ার্ডেও কাজ শুরু হবে।”

সিপিএমের রানাঘাট পূর্ব ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সদস্য অশোক চক্রবর্তীর বক্তব্য, “আমাদের কাছে খবর আসছে, বিভিন্ন জায়গায় উদ্বাস্তুদের তিন পাতার দলিল দেওয়া হচ্ছে। আমরাও উদ্বাস্তু, আমরাও বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছিলাম। আমাদেরও এক সময়ে দলিল দেওয়া হয়েছিল। সেটা ছিল চার পাতার দলিল।”

রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের দাবি, “আগামী বিধানসভা নির্বাচনে হারবেন বুঝে মুখ্যমন্ত্রী আবোলতাবোল বলতে শুরু করেছেন। দলিল রাজ্য সরকার দেবে, এটা ঠিক। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের জমি কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া তিনি কাউকে দিতে পারেন না।” তবে শিবু বলেন, “আমি যত দুর জানি, নিয়ম মেনেই দলিল দেওয়ার কাজ হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন