কচুরিপানায় ভরেছে ভৈরব। ১৯৮২ সালে তৈরি হলেও আজও জলের রিজার্ভার নেই (মাঝে)। বর্ষায় এ রাস্তায় যাতায়াত বিভীষিকা।--নিজস্ব চিত্র
• লক্ষ্মীপাড়া, আনন্দপল্লির বিভিন্ন রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে।
শুভ্রজিৎ সরকার, লক্ষ্মীপাড়া
কয়েক জায়গায় নিকাশিনালা তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু এলাকায় নিকাশি নালা তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
• করিমপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু বৃদ্ধ বার্ধক্য ভাতা পান না। বিধবা ভাতাও মেলে না অনেকের। পঞ্চায়েত কী ভাবছে?
সারথি হালদার, আনন্দপল্লি
অনেক দুঃস্থ মানুষেরই নাম বিপিএল তালিকায় নেই। তাই ভাতা দেওয়া যায়নি তাঁদের। নতুন তালিকায় নাম এলেই ভাতা দেওয়া হবে।
• পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষ করে মজলিসপুর, কলাবেড়িয়া, নাটনা, পাট্টাবুকায় পানীয় জলের ভীষণ সমস্যা।
বিপ্লব চৌধুরী, নাটনা
যে সব এলাকায় জলের সংযোগ নেই, নতুন করে সংযোগ দেওয়া হবে। খারাপ থাকলে তা সারিয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বহুবার কথা বলেছে পঞ্চায়েত। আবারও বলবে।
• পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বর্ষার সময় জল জমে। জমা জলের দুর্গন্ধে আর মশার উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে যান বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত কোনও ব্যবস্থা নেয় না কেন?
রতন সরকার, মজলিসপুর
নিকাশি ব্যবস্থা ভাল হয়ে গেলে আর এই সমস্যা থাকবে না।
• হাতেগোনা কয়েকটি রাস্তায় আলো জ্বললেও বেশিরভাগ রাস্তায় এখনও কোনও আলো নেই। রাতের বেলায় হাঁটাচলায় সমস্যা হয়।
বাসন্তী সর্দার, কলাবেড়িয়া
বহু রাস্তাতেই আলো রয়েছে। যে সব রাস্তায় আলো নেই, পঞ্চায়েত আলোর ব্যবস্থা করবে।
• সরকারি উদ্যোগে প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা ব্যয়ে বেলতলা মাঠে একটি সজলধারা জল প্রকল্পের কাজ হয়েছিল। পাঁচ বছর হয়ে গেলেও সেটি এখনও চালু হয়নি।
বিকাশ মণ্ডল, বেলতলা মাঠ
ওখানে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল। এক দিন সারাতে গিয়েও মিস্ত্রি ফিরে এসেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই বাধা দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার কথা বিডিও ও মহকুমাশাসককে জানানো হয়েছে।
• সংস্কারের অভাবে জলঙ্গি ও ভৈরব, দু’টি নদীই খালে পরিণত হয়েছে। খাল দু’টি সংস্কার করলে এলাকার প্রচুর চাষি, মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
সুমন্ত বিশ্বাস, আনন্দপল্লি
একশো দিনের কাজে তিনবার মাটি কাটানো হয়। আসলে জলঙ্গি নদী, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ দুই জেলার মধ্যে অবস্থিত হওয়ায়, তা দুই জেলা পরিষদের অধীনে। নদী সংস্কারের জন্য আবারও প্রশাসনকে জানাবো।
• মজলিসপুর ও কলাবেড়িয়া গ্রামের রাস্তা যাতায়াতের অযোগ্য। বর্ষায় জলকাদা ঠেলে বালিয়াডাঙা বা যমশেরপুর উচ্চবিদ্যালয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয় স্কুলপড়ুয়াদের।
অমিত চৌধুরী, মজলিসপুর
বালিয়াডাঙা যাওয়ার রাস্তা নদিয়া জেলা পরিষদের অন্তর্ভূক্ত। পঞ্চায়েতের সীমিত অর্থে ওই রাস্তা করা সম্ভব নয়।
• বয়স পেরিয়ে গেলেও এখনও ছেলেমেয়ের রেশন কার্ড হয়নি। বহুদিন আগে পঞ্চায়েতে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু তা আজও হয়নি।
নিলয় রায়, কলাবেড়িয়া
পঞ্চায়েতে জমা পড়া প্রতিটি আবেদনপত্র ব্লক খাদ্য দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রেশন কার্ড তারাই দেয়। অনেকেই রেশন কার্ড পায়নি। ব্লক খাদ্য অফিসে বিষয়টি জানাব।
• প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অনেক গরিব মানুষ ঘর পায়নি। অথচ যাঁদের পাকা ঘর রয়েছে, তাঁদেরই নাম ঘর পাওয়ার তালিকায় রয়েছে। কী করে সেটা সম্ভব হল?
মন্টু মণ্ডল, নাটনা
বিপিএল তালিকা তৈরির সময় সমীক্ষায় কিছু ভুল হয়েছে। নতুন করে তালিকা সংশোধন ও সংযোজন করতে হবে।