স্কুলের বরাদ্দে পচা আলু

ক্ষতির হাত থেকে চাষিদের বাঁচাতে সহায়ক মূল্যে আলু কিনে মিড-ডে মিলের জন্য পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে মান নিয়ে। কেননা সাত দিনের মধ্যেই আলু পচতে শুরু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০৩
Share:

নষ্ট: নাকাশিপাড়া হরিদ্রাপোতা স্কুলে এসেছে এমন আলু। —নিজস্ব চিত্র।

ক্ষতির হাত থেকে চাষিদের বাঁচাতে সহায়ক মূল্যে আলু কিনে মিড-ডে মিলের জন্য পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে মান নিয়ে। কেননা সাত দিনের মধ্যেই আলু পচতে শুরু করেছে।

Advertisement

গত সপ্তাহে হরিহরপাড়া ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে কৃষক বাজার থেকে কিনে ২৪১টি স্কুল ও ২৯৪টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে আলু দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রাথমিক স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়ুয়া কম থাকায় আলুও গিয়েছে কম। ওই সব জায়গা থেকে পচনের খবর না তেমন না এলেও কয়েকটি হাইস্কুলে বহু আলু পচা বেরিয়েছে। রুকুণপুর হাইস্কুলে প্রায় ১৬০০ পড়ুয়া মিড-ডে মিল খায়। সেখানে গিয়েছিল ২০ কুইন্ট্যাল আলু। গত তিন দিনের গুমোট গরমে তা পচতে শুরু করেছে।

গত বুধবার স্কুলের রাঁধুনিরা এসে শিক্ষকদের জানান, যে ঘরে আলু রয়েছে, সেখান থেকে পচা গন্ধ আসছে। ঘর খুলে দেখা যায়, ৪৫ কেজির বেশি আলু পচে গিয়েছে। এক শিক্ষকের আক্ষেপ, ‘‘আমাদের বলা হয়েছিল, খুব ভাল আলু দেওয়া হচ্ছে। তা চার পাঁচ-দিনেই পচে নাকি! পচা আলু সরিয়ে ভাল আলু আলাদা ঘরে ঢেলে রাখা হয়েছে।’’

Advertisement

প্রশাসন অবশ্য এর দায় নিতে নারাজ। হরিহরপাড়ার যুগ্ম বিডিও উদয় পালিত বলেন, ‘‘আলু দেওয়ার সময়েই ভাল মান দেখে প্রতিটি স্কুলকে দেওয়া হয়েছে। সেটা যত্ন করে রাখলে, কখনই পচার কথা নয়। এর পরেও কোথায় আলু পচেছে, সে কথা আমাদের জানা নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement