রজ্জুতে বোমা ভ্রম

দড়ির সেই পাকানো গোলা হুবহু সুতলি বোমার মতো দেখতে। ঝড়ের গতিতে খবর ছড়াল, সভা ভন্ডুল করতে কে বা কারা মাঠে বোমা রেখে গিয়েছে। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের আর পুলিশের ছোটাছুটি পড়ে গেল। ঘড়ির কাঁটার তখন সকাল এগারোটা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

তেহট্ট শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:১৯
Share:

ঘটনাস্থলে পাওয়া ‘বোমা’ ডোবানো হল জলে। নিজস্ব চিত্র

নিতান্ত নিরীহ পাটের দড়ির পাকানো একটা বল! তা নিয়ে শনিবার অনুব্রত মণ্ডলের সভার ঠিক আগে হুলস্থুল তেহট্টের হাই স্কুল মাঠে!

Advertisement

দড়ির সেই পাকানো গোলা হুবহু সুতলি বোমার মতো দেখতে। ঝড়ের গতিতে খবর ছড়াল, সভা ভন্ডুল করতে কে বা কারা মাঠে বোমা রেখে গিয়েছে। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের আর পুলিশের ছোটাছুটি পড়ে গেল। ঘড়ির কাঁটার তখন সকাল এগারোটা।

তখনও মঞ্চে কেউ আসেননি। তবে দর্শকাসন অনেকটাই ভরে গিয়েছে। সেই সময় সভাস্থল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে রাস্তার পাশে একটি ট্রান্সফরমারের নীচে দড়ির গোলাটি দেখতে পাওয়া যায়। চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তার পর বালতির জলে তা চুবিয়ে দেওয়া হয়। বোমা হলে তা জলে ভাসার কথা, আর দড়ির গোলা হলে তা ডুবে যাবে। এই গোলাটি ডুবে যেতেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন সকলে। ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলেন উপস্থিত দর্শকেরা। তাঁরাও আশ্বস্ত হন। তার পরেও কোনওরকম সংশয় রাখতে না-চেয়ে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সভামঞ্চের আশপাশ পরীক্ষা করা হয়।

Advertisement

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) অর্নব বিশ্বাস বলেন, “ওটা বোমা নয়, দড়ির গোলা। আমরা পরীক্ষা করে দেখে নিশ্চিত হয়েছি।” তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি জুলফিকার আলি খানও জানান, ওই এলাকায় অনেকে পাটকাঠির ব্যবসা করেন। তাঁরা পাটকাঠির গোছা বাঁধেন এই পাটের দড়ি দিয়ে। দড়ি তাঁরা ওই ভাবে জড়িয়ে রাখেন। এইরকম কারও কাছ থেকে দড়ির গোলাটি রাস্তায় পড়ে গিয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘ পুলিশ গোলাটি পরীক্ষা করেছে। সেটা দড়িই ছিল, কোনও বোমা নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন