এনটিপিসি-র বেতনবৃদ্ধি, মুখ ভার সাগরদিঘির

নর্থ ব্লক বনাম নবান্ন। ‘বৈষম্যের’ প্রশ্নটা উঠে গেল তৃণমূলের অন্দরেই। জঙ্গিপুরে এনটিপিসি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঠিকা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি ঘোষণা হতেই বেঁকে বসেছে সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দেরের তৃণমূলের দখলে থাকা শ্রমিক সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১৪
Share:

নর্থ ব্লক বনাম নবান্ন।

Advertisement

‘বৈষম্যের’ প্রশ্নটা উঠে গেল তৃণমূলের অন্দরেই।

জঙ্গিপুরে এনটিপিসি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঠিকা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি ঘোষণা হতেই বেঁকে বসেছে সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দেরের তৃণমূলের দখলে থাকা শ্রমিক সংগঠন।

Advertisement

তাঁদের দাবি,— এ কেমন হল?

ফরাক্কায় এনটিপিসি-র ঠিকা শ্রমিকদের মজুরি ফেব্রুয়ারির গোড়া থেকে হাজার টাকা বেড়ে গিয়েছে। তবে, সাগরদিঘিতে তেমন বেতন বৃদ্ধির কোনও খবর নেই। জানতে পেরে দলের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।

এই মজুরি বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছে ফরাক্কায় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। ছবিটা ঠিক উল্টো, রাজ্য সরকারের সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। সেখানে, দীর্ঘ দিন ধরে কম মজুরি পাওয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা।

ফরাক্কা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শৈবাল ঘোষ জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ন্যুনতম মজুরি বাড়িয়ে অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য দৈনিক ৩৫০ টাকা, আধা-দক্ষদের ৪১০ টাকা এবং দক্ষ শ্রমিকদের ৪৯৪ টাকা ঘোষণা করেছে, এনটিপিসি কর্তৃপক্ষ তা মেনেও নিয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ঠিকা শ্রমিকদের এই বাড়তি মজুরি দেওয়া হবে।

ফরাক্কা তৃণমূল ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অমর চক্রবর্তী বলেন, “এনটিপিসি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।”

অন্যদিকে, সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকা শ্রমিকেরা দীর্ঘ দিন ধরেই কম মজুরি পাওয়া নিয়ে সেখানকার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “বার বার এই বৈষম্যের কথা জানিয়ে নতুন ভাবে মজুরি চুক্তি করার কথা বলা হলেও তা কার্যকরী করা হচ্ছে না। এ ভাবে চলতে পারে না।’’ সাগরদিঘি প্রকল্পের সিটুর সম্পাদক গোপাল রাজমল্লও বলেন, “২০১৫ সালে পুরোনো মজুরি চুক্তি শেষ হয়েছে। কিন্তু দাবি জানানো সত্বেও নতুন মজুরি চুক্তি না হওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রমিকেরা।”

তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি শ্রমিক নেতা সোমেন পান্ডে বলেন, “সমকাজে সম-মজুরির পক্ষে আমরা। তাই এনটিপিসির মজুরি বৃদ্ধিতে সাগরদিঘির ঠিকা শ্রমিকদের এই ক্ষোভ স্বাভাবিক। তবে তাঁরাও যাতে একই হারে মজুরি পান তা নিয়ে চেষ্টা চলছে।”

সিটুর জেলা সভাপতি আবুল হাসনাত খানের মন্তব্য, “পাশাপাশি দুটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। অথছ মজুরির বেলায় এই বিস্তর ফারাক মানা যায়! এর ফলে একটা অসুস্থ পরিবেশ তৈরি হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন