পসরা: কৃষ্ণনগরে বিকোচ্ছে হরেক রকমের মুখোশ। নিজস্ব চিত্র
আসল নাকি নকল, কার কদর বেশি?
দোলের বাজার বলছে— নকল। নবদ্বীপ থেকে কৃষ্ণনগর, করিমপুর থেকে বহরমপুর, সর্বত্রই জমতে শুরু করেছে দোলের বাজার। আর সেই বাজারে দেদার বিকোচ্ছে পরচুলা। কেউ চাইছেন ‘পনিটেল’, কেউ বা মাথায় তুলে আনতে চান নিখাদ সিংহলি লাসিথ মালিঙ্গার সোনালি চুল।
দোকানে দোকানে আবির, রং, পিচকারির পাশাপাশি তাই শোভা পাচ্ছে নানা কিসিমের টুপি, রংবেরঙের মুখোশ ও পরচুলা। কৃষ্ণনগরের নেদেরপাড়ার মোড়, মায়াপুরের ইস্কনের মন্দিরের সামনের রাস্তা জুড়ে এখন পরচুলের পসরা।
কৃষ্ণনগরের ব্যবসায়ী বিপ্লব বসাক জানান, মাথা ও মুখ ঢাকার জন্যই টুপি এবং মুখোশের ব্যবহার হয়। রং থেকে বাঁচতে চশমারও চাহিদাও ছিল। তবে নকল চুলের চাহিদা গত বার থেকে শুরু হয়েছে। সেই মতো এ বারে নানা রকমের পরচুলা আনা হয়েছে। দাম ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
দোলের অনেক আগে থেকেই আকর্ষণ বাডাতে বহরমপুরের বিভিন্ন দোকানের সামনে ঝুলছে হরেক রকমের মুখোশ। সেই তালিকায় ভূত, কঙ্কাল, ডোরেমন, ছোটা ভীমের পাশাপাশি রয়েছে বাঘ-সিংহ, মা দুগ্গা ও স্পাইডারম্যানের মুখও। পাশেই ঝুলছে মালিঙ্গা থেকে শাহরুখ খানের চুলের কায়দায় তৈরি পরচুলা।
বহরমপুরের বিশিষ্ট সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ দেবাশিস মজুমদার বলছেন, ‘‘এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। তাই রাসায়নিক রং থেকে চুল ও ত্বককে বাঁচাতেই টুপি, মুখোশ, চশমার পাশাপাশি নকল চুলেরও চাহিদা বাড়ছে।’’ নবদ্বীপের টুপি বিক্রেতা বলরাম সাহা জানান, ক্রিকেট ক্যাপ কিংবা কাউবয় হ্যাটের চাহিদা এ বারেও রয়েছে। তিরিশ টাকা থেকে দেড়শো টাকা পর্যন্ত দামের টুপি
দিব্যি বিকোচ্ছে।
নবদ্বীপের দোলের সাজ আবার একটু অন্যরকম। দোল এখানে পরিক্রমা প্রধান। রোদে পোড়া তপ্ত রাস্তা দিয়ে মাইলের পর মাইল হাঁটতে গিয়ে সুতির পোশাকের চাহিদা তুঙ্গে। বিশেষ করে বিদেশি পুরুষ এবং মহিলাদের পছন্দ সুতির হালকা জামাকাপড়।
ফলে সুতির তাঁতের কাপড়, সাদা বা গেরুয়া ধুতি-পাঞ্জাবির চাহিদা রয়েছে ভাল।