সর্বশিক্ষার জোড়া স্কুল

সময় ফুরোল, শিবির হল না

সময় শেষ হতে চলেছে। তবু সাত দিনের ‘জোড়া স্কুল’ (টুইনিং অব স্কুল) কর্মসূচিতে যোগই দিতে পারল না মুর্শিদাবাদের দু’টি স্কুল। তার একটি মুর্শিদাবাদ পুর এলাকার কুতুবপুর নব আদর্শ বিদ্যালয়, অন্যটি জিয়াগঞ্জের রামদাস আওলিয়া গার্লস হাইস্কুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর ও কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০০:৪৩
Share:

সময় শেষ হতে চলেছে। তবু সাত দিনের ‘জোড়া স্কুল’ (টুইনিং অব স্কুল) কর্মসূচিতে যোগই দিতে পারল না মুর্শিদাবাদের দু’টি স্কুল। তার একটি মুর্শিদাবাদ পুর এলাকার কুতুবপুর নব আদর্শ বিদ্যালয়, অন্যটি জিয়াগঞ্জের রামদাস আওলিয়া গার্লস হাইস্কুল। জেলার কর্তাদের কেউই অবশ্য তার দায় নিতে রাজি নয়।

Advertisement

সর্বশিক্ষা মিশনের চালু করা এই কর্মসূচিতে ‘জোড়া স্কুল’ কর্মসূচিতে প্রতি ব্লকের একটি পিছিয়ে পড়া এবং একটি এগিয়ে থাকা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ৩০ জন করে ছাত্রছাত্রী, দু’জন করে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়ে সাত দিন শিবির হওয়ার কথা। শহর ও গ্রামের স্কুলের জোড়ও বেছে নেওয়া যেতে পারে। উদ্দেশ্য, দুই স্কুলের ছাত্রাছাত্রীদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও ভাব বিনিময়। দল বেঁধে তারা এলাকা ঘুরে লোকসংস্কৃতি, ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞানার্জনও করবে। সর্বশিক্ষা মিশন থেকে জোড়া স্কুল শিবির পিছু খরচ করা হবে প্রায় ৭৩ হাজার টাকা।

বছর খানেক আগেই সর্বশিক্ষা মিশন থেকে এ বিষয়ে নির্দেশ এলেও নদিয়ায় এখনও প্রকল্পের কাজ শুরুই হয়নি। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে তা শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। এ বার যারা শিবির করবে, মার্চের মধ্যেই তাদের তা শেষ করতে হবে বলে গত ২৭ ডিসেম্বর নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে রাজ্য সর্বশিক্ষা মিশন।

Advertisement

সেই মতো মুর্শিদাবাদের ৫২টি স্কুলের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সেই সব স্কুলে শিবির শেষ করে ২৪ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। ৫০টি স্কুল ইতিমধ্যে শিবিরে যোগ দিয়েছে। যদিও সেই সব শিবিরে কেবল মাত্র নিয়মরক্ষা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাকি দু’টি স্কুলকে নিয়ে শিবির করাই যায়নি। ব্লকস্তরে বা দুই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে বৈঠকও হয়নি।

মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি দেবাশিস বৈশ্য বলেন, ‘‘বিডিওরা ওই প্রকল্পের ব্লক নোডাল অফিসার। ব্লকস্তরে মিটিং কেন হয়নি, তাঁরাই বলতে পারবেন।’’ মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জের বিডিও রহমত আলি বলেন, ‘‘ওই দু’টি স্কুলে ওই মিটিং করে প্রকল্পটি চালু করা হয়নি কেন, জানা নেই। খোঁজ নেব।’’

কুতুবপুর নব আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রামদাস আওলিয়া গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী ঘোষকে বৃহস্পতিবার নিজের অফিসে ডেকেছিলেন স্কুল পরিদর্শক। মৌসুমীর খেদ, ‘‘চারটি চক্রের দায়িত্বে থাকায় সে দিন তিনি মিটিং করতে পারেননি। সারা দিন তাঁর অফিসে বসে থেকে আমরা ফিরে গিয়েছি।’’

সর্বশিক্ষা মিশনের মুর্শিদাবাদ জেলা প্রকল্প আধিকারিক তানিয়া পারভিনের আশ্বাস, ‘‘ওই দু’টি স্কুল নিয়ে সোমবার থেকে ৭ দিনের শিবির হবে।’’

মৌসুমীর বক্তব্য, ‘‘আমাদের স্কুলে মঙ্গলবার অডিট রয়েছে। ৬ জন শিক্ষিকার মধ্যে ৩ জনই ছুটিতে। শিবিরে আমরা যেতে পারব না।’’

সর্বশিক্ষা মিশনের নদিয়া জেলা প্রকল্প আধিকারিক সচ্চিদানন্দ বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, “জোড়া স্কুল বাধ্যতামুলক নয়। তবুও এ বছর ১০টি স্কুলে এই প্রকল্পের কাজ হবে। স্কুলগুলিকে চিহ্নিত করে আমরা কাজ শুরু করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন