থমথমে গ্রামে খুলল না স্কুল

স্বরূপপুর গ্রামে পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার পরে তৃতীয় দিনেও মিলনী বিদ্যালয় ছাত্রীশূন্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

স্বরূপপুর শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:২৭
Share:

সুনসান ক্লাসঘর। নিজস্ব চিত্র

আমজাদের বুজরুকির ছায়া কাটিয়ে ফের রোদ্দুর উঠেছে খলিলাবাদ গ্রামে। ঘর গেরস্থালি গুছিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে প্রান্তিক জনপদ। কিন্তু আমজাদের বুজরুকির সমর্থনে পথ রুখেছিল যে স্বরূপপুর, তা এখনও থমথমে।

Advertisement

গ্রামের স্কুলের দরজা খোলা। কিন্তু পড়ুয়ারা নেই। রাস্তায় লোক চলাচল আছে, তবে মুখে কুলুপ আঁটা। অধিকাংশ বাড়ির দরজায় খিল। পুরুষেরা এখনও গ্রাম ছাড়া।

স্বরূপপুর গ্রামে মিলনী প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় এ দিনও ছিল বন্ধ। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুনীতা খাতুন বলছে, ‘‘কেমন ভয় ভয় করল তাই যাইনি।’’ সেই একই নিঝুম ভয়ে স্কুলের পথে পা বাড়ায়নি দ্বিতীয় শ্রেণির তৃষা বিশ্বাসও।

Advertisement

শনিবার খোঁজ নিয়ে দেখা গেল তৃষা-সুনীতা নয়, এ দিন স্কুলে আসেনি একশো ত্রিশ জন ছাত্রীর কেউই।

স্বরূপপুর গ্রামে পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার পরে তৃতীয় দিনেও মিলনী বিদ্যালয় ছাত্রীশূন্য। কার্যত ছুটির চেহারা স্কুলে। শনিবার স্কুলে হাজির ছিলেন মোট দু’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক অয়ন বিশ্বাস জানান, বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর থেকেই ছাত্রীরা স্কুলে আসছে না। শুক্রবার চার জন শিক্ষক শিক্ষিকার সকলেই স্কুলে এলেও আসেনি কোনও ছাত্রী। ফলে বন্ধ রয়েছে মিডডে মিল। তবে এ দিন স্কুলে আসেননি প্রধান শিক্ষক গৌতম কুণ্ডু এবং সহকারী শিক্ষক সনৎকুমার দাস। স্কুলের সহকারী শিক্ষক অয়ন বিশ্বাস বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার পরে গোটা গ্রাম কার্যত পুরুষ-শূন্য। অনেক বাড়ির মহিলারাও আতঙ্কে গ্রাম ছাড়া। তাছাড়া স্কুলের বেশিরভাগ পড়ুয়ার বাড়ি স্বরূপপুর এলাকায় ঘটনাস্থলের কাছেই।

দু’দিনে ছাত্রছাত্রীদের হাজিরা কমেছে স্বরূপপুর হাইস্কুল এবং ঈশ্বরচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। ওই স্কুলেই পড়ে আব্দুল আনসারির মেয়ে। বলছেন, ‘‘গন্ডগোলের ভয়েই মেয়েকে স্কুলে পাঠাইনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন